শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সাইকেল চুরির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হল প্রাধ্যক্ষকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুল্লাহ আল মারুফ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। সাইকেল চুরিতে তাকে সহযোগিতা করেন আরিফুল ইসলাম সুমন নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি ফোকলোর বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর হলেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আরজু।
আরিফুল ইসলাম সুমন
হল সূত্রে জানা যায়, বুধবার হল থেকে একটি সাইকেল হারিয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হল গেটে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করেন। এতে দেখা যায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলের প্রধান ফটকের পাশের জঙ্গল থেকে একটি সাইকেল বের করে নিয়ে যাচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর বিকেলের দিকে হলের শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। এসময় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। পরে হল কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে চলে আসে।
এসময় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি চুরির বিষয়টি অস্বীকার করেন। সাইকেলটি তার এক বড় ভাইয়ের বলে দাবি করেন। কিন্তু কোন বড় ভাইয়ের তার কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। এক পর্যায়ে তিনি সুমনের নাম বলেন।
সুমন ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি সাইকেল চুরির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মারুফের নির্দেশে তিনি হলের ছাদ থেকে একটি সাইকেল ফেলে দেন। পরে মারুফ ওই সাইকেল নিয়ে বিক্রি করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরজু বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে হলে তিনি সাইকেল রাখেন। পরে বুধবার রাত ৮টার দিকে গিয়ে দেখি সাইকেল নাই। পরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে সাইকেলটি শনাক্ত করি। পরে আমি হল প্রাধ্যক্ষকে মৌখিক অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, প্রভোস্ট স্যার এর আগেও মারুফের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেয়েছেন বলে শুনেছি। আমরাও তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজ দুপুরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। পরে সিসিটিভি দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। ভবিষ্যতে যে এমন ঘটনা আর না ঘটে সেই বিবেচনায় আমি ওই শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিয়েছি। তার আবাসিকতা বাতিল করা হবে।
সানশাইন / শামি