শনিবার, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : পোষ্য কোটায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তির জন্য ১০ নম্বর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে পাশ নম্বর ৪০ হলেও পোষ্য কোটার পাশ নম্বর ৩০ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফেল করা ৬০ জন সন্তান ভর্তির সুযোগ পাবেন। এরপরও পোষ্য কোটার ৭৬টি আসন ফাঁকা থাকবে।
রোববার রাবি ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার সভায় সভাপতিত্ব করেন । ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতানুল ইসলামসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রদীপ কুমার পাণ্ডে জানান, এ বছর (২০২১-২২ সেশন) রাবিতে কোটাসহ মোট আসন ৪ হাজার ৬৪১টি। মোট আসনের পাঁচ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিজীবীদের সন্তানদের জন্য নির্ধারিত পোষ্য কোটা। এবার পোষ্য কোটার আসন ২০১টি। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বেশি পেয়ে ইতোমধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু ৪০ নম্বর না পাওয়ায় ফাঁকা আছে ১৩৬টি আসন। এ অবস্থায় আসন পূরণে পোষ্য কোটার পাশ নম্বর ৩০ করা হলো।
নূন্যতম পাশ নম্বরে ১০ নম্বর ছাড় দেওয়ায় এখন আরও ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। তবে আরও ৭৬টি আসন ফাঁকাই থাকবে। এসব আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হলে পাশ নম্বর আরও কমাতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আর নিচে নামবে না। পোষ্য কোটার এসব আসন এবার ফাঁকাই থাকবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত ২৪ অক্টোবর উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে ভর্তি উপ-কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে নূন্যতম পাশ নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ‘সি’ ইউনিটে আবশ্যিকে ২৫ ও ঐচ্ছিকে ১০ নম্বর পাওয়ার শর্ত পূরণ করতে পারেননি এমন পোষ্য কোটার শিক্ষার্থীদেরও ভর্তি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু অধিকাংশ সদস্য এতে অসম্মতি জানালে প্রস্তাবটি সভায় পাশ হয়নি। এনিয়ে রোববার আবার ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন পোষ্য কোটার পাশ নম্বর ১০ কমিয়ে ৩০ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।