রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইকেট নিয়ে সুরটা বেঁধে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। পরে দারুণ সঙ্গত করেন তার সতীর্থরা। চমৎকার বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে নেদারল্যান্ডকে একশর আগেই থামিয়ে দেয় পাকিস্তান। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় প্রত্যাশিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
পার্থে রোববার এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের দেখা পায় পাকিস্তান। সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নাটকীয় হারের পর এবার ডাচদের তারা হারায় ৬ উইকেটে। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা নেদারল্যান্ডস ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে মাত্র ৯১ রান। ২০০৯ সালের শিরোপাজয়ী পাকিস্তান জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ৩৭ বল বাকি থাকতেই।
প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে রাখতে বড় অবদান রেখে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন শাদাব খান। ৪ ওভারে ৩ উইকেট নেন তিনি ২২ রান দিয়ে। ২ উইকেট প্রাপ্তি মোহাম্মদ ওয়াসিমের। নেদারল্যান্ডসকে শুরু থেকেই চেপে ধরে পাকিস্তান। প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারালেও স্রেফ ১৯ রান করতে পারে ডাচরা। এই সময়ে আসে মাত্র দুটি চার।
প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাতটি হানেন আফ্রিদি। ফাইন লেগে ধরা পড়েন দলে ফেরা স্টেফান মাইবার্গ। ষষ্ঠ ওভারে বড় ধাক্কা খায় ডাচরা। দারুণ ছন্দে থাকা অলরাউন্ডার বাস ডে লেডে মাঠ ছাড়েন আঘাত পেয়ে। হারিস রউফের বাউন্সার পুল করে ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। বল তার হেলমেটের গ্রিলে লাগলে ডান চোখের নিচে কেটে যায়। দিতে হয় ৬ সেলাই। তার কনকাশন বদলি হিসেবে খেলেন লোগান ফন বিক।
দলের হাল ধরতে পারেননি টম কুপার ও মাক্স ও’ডাওড। দুইজনই লেগ স্পিনার শাদাবের শিকার। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে মাত্র ৩৪ রান করতে পারে দলটি। এরপর কলিন আকারম্যান ও স্কট এডওয়ার্ডস কিছুক্ষণ টানেন নেদারল্যান্ডসকে। তবে দ্রুত রান তুলতে পারেননি তারা। তাদের জুটিতে ৩৭ বলে আসে ৩৫ রান। শাদাবকে রিভার্স সুইপ করে এলবিডব্লিউ হন আকারম্যান। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি দলের হয়ে ২ চারে সর্বোচ্চ ২৭ রান করে এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
পরে নাসিম শাহ, রউফ ও ওয়াসিম মিলে একশও পার হতে দেননি নেদারল্যান্ডসের রান। শেষ ৫ ওভারে ২৩ রান তোলে দলটি ৫ উইকেট হারিয়ে। পুরো ইনিংসে মাত্র ৫টি চার মারতে পারে ডাচরা। রান তাড়ায় শুরুতে ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ওভারে রুলফ ফন ডার মেরওয়ার সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে যান বাবর আজম। এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাট একদমই হাসছে না। এখন পর্যন্ত তিন ইনিংসে তার রান ০, ৪ ও ৪।
দলে ফেরা ফখর জামান চার মেরে খোলেন রানের খাতা। তার ৩ চারে ১৬ বলে ২০ রানের ইনিংস থামে কট বিহাইন্ড হয়ে। এক প্রান্তে নিজের মতো খেলে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। সম্ভাবনা জাগান ফিফটির। কিন্তু ৫ চারে ৪৯ রান করে বিদায় তিনি। ম্যাচ যখন সমতায় আউট হন শান মাসুদ। চার মেরে দলকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেন শাদাব।