শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক চাঁপাই চিত্র’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. কামাল উদ্দীনকে হুমকি দেয়া হয়েছে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সম্পাদকও। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে কৃষকলীগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর শাখার সভাপতি মেসবাহুল হক টুটুল সম্পাদক কামাল উদ্দীনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন। ফোনে হুমকি দেয়ার আগে তিনি দলবল নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় শহরের পাঠানপাড়ায় পত্রিকা অফিসে এসে সম্পাদকের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় কৃষকলীগ নেতাসহ সবাই মদ্দপ অবস্থায় ছিল। এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কামাল উদ্দীন।
কৃষকলীগ নেতা হুমকি দেয়ার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কেন নিউজ করেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করছেন বলে অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তবে মেয়র মোখলেসুর রহমান ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফ জামান আনন্দ বলছেনÑ একজন সিনিয়ির সাংবাদিক ও পত্রিকার সম্পাদককে হুমকি দেয়া রীতিমত নোংরামি। এমন ঘটনায় আমরা জড়িত নই। যে হুমকি দিয়েছে সে দায় তার। ওর দায় আমরা নেবো না।
চাঁপাই চিত্র সম্পাদক বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মদ্যপান অবস্থায় সন্ত্রাসী কায়দায় দলবল নিয়ে পাঠানপাড়াস্থ দৈনিক চাঁপাই চিত্র কার্যালয়ে এসে আমার নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পৌর কৃষকলীগের সভাপতি মেসবাহুল হক টুটুল। আমি তখন প্রেসক্লাবে ছিলাম। এর কিছুক্ষণ পর ৯টা ৫১ মিনিটে অভিযুক্ত টুটুল তার ব্যবহৃত ০১৭১২-৩৩১৭৩৬ থেকে আমার ব্যবহৃত নম্বরে ফোন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফ জামান আনন্দের বিরুদ্ধে কেন নিউজ করেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করছেন বলে অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় সে ‘চাঁপাই চিত্র’ পত্রিকা অফিসে হামলারও হুমকি দেয়। আমার পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক ফারুক আহমেদ চৌধুরীকে মারধরের হুমকি ও গালিগালাজ করে টুটুল। বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও মারামারিসহ মেসবাহুল হক টুটুলের বিরুদ্ধে চারটি মামলার তথ্য আমরা পেয়েছি। থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। পুলিশ নিশ্চয় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি একেএম আলমগীর জাহান বলেন, দৈনিক চাঁপাই চিত্র পত্রিকার সম্পাদক মো. কামাল উদ্দীনের জিডি নথীভূক্ত করে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. নুরুল কাদির সৈকতকে তদন্তভার দেয়া হয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি একটি নন-কগনিজেবল অফেন্স, সেহেতু এটি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে। অনুমতির জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।