বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: রাসেল ডমিঙ্গোকে বসিয়ে হাই প্রোফাইল শ্রীধরন শ্রীরামকে নিজেদের ড্রেসিংরুমে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। কোচ বদলেছে, তবে ঘোরেনি সাফল্যের চাকা। সেই আগের স্টাইলেই এগোচ্ছে টি-টোয়েন্টি। ইন্টেন্ট কিংবা ইম্প্যাক্ট কোনোটাই ঠিক নেই। তবে শ্রীরাম বলছেন সময়ে দিলে বাংলাদেশকে ভালো টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
‘আমরা আমাদের প্রত্যাশার জায়গায় ঠিকই আছি, ভবিষ্যতের জন্য একটা দল গড়ে তোলা…বেশ সামর্থ্যবান কিছু ক্রিকেটার আছে। আমি বিশ্বাস করি সময় দিলে আমরা ভবিষ্যতে একটা ভালো টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে গড়ে উঠবো’। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই বলছিলেন শ্রীরাম।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল ডাচদের বিপক্ষে জয় দিয়ে। পরের ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়েছে দল। ব্যাটিংয়ে সেই আগের মতো হতাশার মিছিল। তবে শ্রীরাম মনে করছেন বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে।
শ্রীরাম বলেন, ‘আমরা মূলত একটা দল হিসেবে গড়ে ওঠার চেষ্টা করছি। সে দিক থেকে সবকিছু ইতিবাচক। ছেলেদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেদের আরও শক্ত করছে, তারা জানে তাদের কোথায় যেতে হবে। অল্প সময়ে আমি মনে করি এসব জিনিস আমরা বেশ ভালোভাবেই করতে পারছি।’ এশিয়া কাপের আগে সাকিব আল হাসানদের দায়িত্ব নেন শ্রীরাম। ২ ম্যাচেই হেরে এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম জয়ের দেখা পায় আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
এরপর নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি। বিশ্বকাপে ডাচদের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু হলেও ব্যাটিংয়ের অ্যাপ্রোচ ঠিক ছিল না। পরের ম্যাচেও একই। এবার সামনে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারলেই এক প্রকার বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশের। শ্রীরামের অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল ওপেনিং জুটি। মেকশিফট ওপেনার দিয়ে কাজ হয়নি। নাজমুল হোসেন শান্ত-সৌম্য সরকার জুটি ধীরে ধীরে আরও পরিণত হবে বলে মনে করেন শ্রীরাম।
‘আমি মনে করি উদ্বোধনী জুটি ভালোই করছে। আরও বেশি যখন খেলবে তখন আরও অভিজ্ঞ হবে, একসাথে যত বেশি খেলবে, ভিন্ন জায়গা, প্রতিপক্ষের বিপক্ষে, ভিন্ন কন্ডিশনে খেলবে আরও শিখবে। দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো ও কুইন্টন ডি কক যেভাবে খেলল, যে ইমপ্যাক্ট রাখলো, যা নিয়ে আমরা কথা বলছি সে দিক থেকে শান্ত ও সৌম্যের জন্য শেখার প্রক্রিয়া এটি।’