মঙ্গলবার, ২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী থেকে পাবনার ঢালারচর লাইনের ৬টি স্টেশনে টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর থেকে এসব স্টেশনে টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী জংশন থেকে পাবনার ঢালারচর পর্যন্ত লাইনটি নতুন। একটি এক্সপ্রেস ট্রেনসহ এ লাইনে দিনে তিনটি ট্রেন চলাচল করে। অস্থায়ী জনবল দিয়ে স্টেশনগুলোর সব কাজ করানো হতো। গত ১৭ অক্টোবর থেকে অস্থায়ী রেলকর্মীরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কর্মবিরতি করছে। ফলে টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। তবে জনস্বার্থে এসব ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তবে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকার কারণে দিনে লক্ষাধিক টাকা করে রাজস্ব হারাচ্ছে রেল।
জানা গেছে, ঈশ্বরদী থেকে পাবনার ঢালারচর পর্যন্ত ৮৯ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ শেষ হয় ২০১৮ সালে। এই বছরের ১৫ জুলাই নতুন লাইনটিতে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর পর্যন্ত মোট ১০টি স্টেশন রয়েছে।
এর মধ্যে বাঁধেরহাট, কাশিনাথপুর, সাঁথিয়া, রাজাপুর, দুবলিয়া, তাঁতিবন্ধ ও রাঘবপুর পর্যন্ত ৬টি স্টেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগকৃত রেলকর্মী দিয়ে। কিন্তু গত ১৭ অক্টোবর থেকে অস্থায়ী রেলকর্মীরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি কর্মবিরতি করছেন। আন্দোলনের জন্য অনেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। ফলে এসব স্টেশনে টিকিট বিক্রিও বন্ধ রয়েছে।
ট্রেন চলাচল করায় যাত্রীরা ট্রেনে উঠে কর্তব্যরত টিকিট চেকারদের কাছ থেকে টিকিট সংগ্রহ করছেন। তবে যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, পুরো একটা গাড়িতে মাত্র দুজন টিটিই থাকেন। তারা কয়েকশ যাত্রীকে গাড়ির ওপরে টিকিট দিতে পারছেন না। ফলে অনেক যাত্রী টিকিট না কেটেই রেল ভ্রমণ করছেন। এতে রেলের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, অনেকদিন রেলে নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিছু নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। জনবল সঙ্কটের কারণে অস্থায়ী কর্মী দিয়ে এসব স্টেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
গত ১৭ অক্টোবর থেকে অস্থায়ী কর্মীরা (টিএলআর) আন্দোলন করছেন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে। ফলে স্টেশনগুলিতে টিকিট দেওয়ার লোক নেই। এরপরও জনস্বার্থ বিবেচনায় এই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। অস্থায়ী কর্মীদেরকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।