মঙ্গলবার, ৩০শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
নুরুজ্জামান, বাঘা: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও দীর্ঘ দিন ধরে সেটি বন্ধ ছিলো। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল এ অঞ্চলের রোগীরা।
এছাড়াও সার্জারি, গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়ার জুনিয়র কনসালটেন্ট না থাকায় নষ্ট হতে যাচ্ছিল অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি। তবে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সাংসদ ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম-সহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামানের একান্ত প্রচেষ্টায় চালু হলো অপারেশন ব্যবস্থা। বুধবার দুপুরে এক শিশু সন্তান জন্ম গ্রহনের মাধ্যমে এই অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে , ১৯৯৩ সালের ১১ এপ্রিল ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন তৎকালিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী । পরে নতুন করে ভবন নির্মানের মাধ্যমে ২০১২ সালের ২২ আগষ্ট এই হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এরপর ঐ বছরই প্রায় ৪০ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয় অপারেশন থিয়েটারের জন্য।
কিন্তু অপারেশন থিয়েটারের জন্য নির্ধারিত চিকিৎক না থাকায় ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির বেশির ভাগই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হতে যাচ্ছিল। এর ফলে সাধারণ রুগীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও লাভবান হচ্ছিল বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গোনিক সেন্টার। বিশেষ করে জরুরি অপারেশনের রোগীদের দুর্ভোগের শেষ ছিলো না।
তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান আসাদের একান্ত প্রচেষ্টায় বুধবার দুপুরে অবশেষে এই সমস্যার অবসান হলো। দুপুরে সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে মনিরা ইয়াসমিন নামে এক মায়ের পেট থেকে জন্মনিল একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান।
এ সময় অপারেশন টিমে ছিলেন গাইনি কনসালটেন্ট ডা. ফারহানা নাজনীন, অ্যানাসথেসিয়া ডা. আবুল এহসান, সহযোগী হিসাবে ছিলেন ডা. মল্লিকা সরকার ও শিশু চিকিৎসক আসাদউল ইসলাম-সহ দু’জন মেডিকেল অফিসার এবং সিনিয়র স্টাফ নার্সরা। এ ছাড়াও সার্বিক তত্বাবধায়নে ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান।
এ বিষয়ে উপকার ভোগী রুগী মনিরা বেগমের স্বামী কবির হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সদরে অবস্থিত একটি ক্লিনিকে গিয়ে সিজার করার খচর জানতে চেয়ে ছিলাম। সেখানে ১০ হাজার টাকা চেয়ে ছিল। এ সময় একটি মাধ্যমে জানতে পারলাম বাঘা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বুধবার থেকে অপারেশন চালু হচ্ছে। খবরটা শুনে সেখানে যোগাযোগ করি এবং পরদিন দুপুরে এক গুচ্ছ ডাক্তার নার্স মিলে আমার স্ত্রীকে অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করান।
এ জন্য আমার কোন টাকা লাগেনি। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ-সহ আমাদের প্রিয় নেতা শাহরিয়ার আলমকে ধন্যবাদ জানাই।