সোমবার, ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপ ম্যাচে বৃষ্টি দেখলেই নিশ্চয়ই বুকটা দুুরুদুরু করতে থাকে প্রোটিয়াদের। বৃষ্টিভাগ্য যে তাদের কখনই শুভ নয়। এর আগে বৃষ্টির কারণে বিশ্বকাপ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে ছিটকে পড়ার অতীতও আছে।
এবার অবশ্য ছিটকে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এখনও। তবে প্রথম ম্যাচেই বৃষ্টির কারণে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটিতে পয়েন্ট ভাগ করতে হলো প্রোটিয়াদের। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জয়ের একদম দ্বারপ্রান্তে ছিল টেম্বা বাভুমার দল। এমনকি পাঁচ ওভার খেলা হলেও জেতার কথা ছিল প্রোটিয়াদের। কিন্তু জয় থেকে ১৩ রান দূরে বৃষ্টি এসে ম্যাচ পরিত্যক্ত করে দিলো। জিম্বাবুয়ে পেয়ে গেলো ভাগ্যের জোরে পয়েন্ট।
বৃষ্টির কারণে দুই দলকে ৯ ওভার বেঁধে দেন আম্পায়াররা। প্রোটিয়া বোলিং তোপ সামলে ওয়েসলে মাদভেরের ব্যাটে চড়ে ৯ ওভারে জিম্বাবুয়ে তোলে ৫ উইকেটে ৭৯ রান। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা রান তাড়ায় নামার পর ১.১ ওভার গেলে ফের হানা দেয় বৃষ্টি। নতুন করে খেলা শুরু হলে ৭ ওভারে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬৪ রান।
কুইন্টন ডি কক বলতে গেলে একাই ম্যাচ বের করে নিয়ে আসছিলেন। তার ১৮ বলে ৪৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৩ ওভারেই বিনা উইকেট ৫১ রান তুলে ফেলেছিল প্রোটিয়ারা। এরপরই বৃষ্টির কারণে ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত। হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। তবে বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে বিপদেই পড়ে দলটি।
মেঘলা আকাশ আর ভেজা পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে জিম্বাবুয়ের টপঅর্ডারকে নাকাল করে ছাড়েন রাবাদা-পারনেলরা। ১৯ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক আরভিন (২), রেগিস চাকাভা (৮), শন উইলিয়ামস (১), সিকান্দার রাজা (০)।
তবে ওয়েসলে মাদভেরে এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিং করে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন দলকে। ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মিলটন শাম্বা করেন ১৯ বলে ১৯। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের মধ্যে লুঙ্গি এনগিদি ২০ রানে নেন ২টি উইকেট।