সোমবার, ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে নির্দিষ্ট দায়িত্বে বিশেষায়িত খেলোয়াড়দের কদর। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক দলেই পাওয়ার প্লে, মাঝের ওভার কিংবা শেষের ওভারগুলোতে হাত খুলে খেলার জন্য নির্দিষ্ট ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব দিতে দেখা যায়। এ বিষয়ে সাকিব আল হাসানের ভাবনা অবশ্য ভিন্ন। তিনি দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পরিবর্তে ম্যাচে পরিস্থিতির দাবি মেটানোকে মূখ্য বিবেচনা করছেন।
হোবার্টে সোমবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকবার যেকোনো অবস্থায় পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। বাংলাদেশ অধিনায়কের সামনে প্রশ্ন ছিল মূলত ফিনিশিং নিয়ে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এ দায়িত্বে দেখা যাচ্ছে নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন বা ইয়াসির আলি চৌধুরি রাব্বিকে। তবে শুধু ফিনিশিং নয়, ইনিংসের কোনো ধাপের জন্য সুনির্দিষ্ট কাউকে দায়িত্ব দিতে চান না সাকিব।
বরং যখন যার সামনে যে পরিস্থিতি আসবে, সেটির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে দলের জন্য পারফর্ম করার দিকে মনোনিবেশ করার কথা বলেছেন টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। “দেখুন কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে কোনো নির্দিষ্ট কাজই করতে হবে, এমন হলে সেই খেলোয়াড়ের জন্য কষ্টকর। আমি তো চাইব, আমাদের দল ব্যাটিং যখনই করুক, ওপেনার দুজনই ২০ ওভার খেলুক। সে যদি না পারে নাম্বার থ্রির কাজ সেটা। নাম্বার থ্রি যদি না পারে, নাম্বার ফোরের কাজ সেটা।”
“যখন যার পরিস্থিতিতে যে অবস্থা আসবে, সেটার সঙ্গে আসলে মানিয়ে নিতে হবে। এ কারণেই বারবার বলছি সিচুয়েশন অনুযায়ী খেলতে পারাটা। এখন যদি ধরেন দুজন সেট ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করেছে ১৫ ওভার পর্যন্ত, (তারা যদি ভাবে) এখন আমাদের দায়িত্ব শেষ। আমরা কাজটা দিয়ে দেব অন্যদের ওপরে। তাহলে আসলে বিষয়গুলো ভালো হয় না।”
এসময় নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার শনিবারের ম্যাচের উদাহরণ আনেন সাকিব। ডেভন কনওয়ে শুরুতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৯২ রান করে দলকে ২০০ রানের সংগ্রহ এনে দেন। শুরুতে ফিন অ্যালেন যখন ঝড় তুলেছিলেন, তখন সহায়কের ভূমিকায় ছিলেন কনওয়ে। পরে তিনিই এগিয়ে নেন নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস।
সতীর্থদের কাছ থেকে সাকিবের চাওয়াও এমন কিছুর। যখন যার সামনে সুযোগ আসবে, ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়ের দাবি মেটানোর তাগিদ দিয়েছেন অধিনায়ক। শনিবার ম্যাচটা যদি দেখেন, নিউ জিল্যান্ডের একটা ব্যাটসম্যান ওপেন থেকে নেমে পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করেছে। এ কারণেই আসলে ওদের দলীয় সংগ্রহটাও ওরকম অবস্থানে গিয়েছে, দলের অবস্থাও একটা ভালো জায়গায় গিয়েছে।”
“তো আমাদের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই যে, একে প্রথম ৬ ওভার ব্যাটিং করতে হবে, একে পরের ৭-৮ ওভার ব্যাটিং করতে হবে এবং এ দুই-তিনজনকে শেষ ৩ থেকে ৫ ওভার ব্যাটিং করতে হবে। আমাদের ওরকম কোনো সুর্নিদিষ্ট পরিকল্পনা নেই। যখনই যে পরিস্থিতি আসবে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী সে যদি তখন পারফরম্যান্সটা করতে পারে আমাদের জন্য সেটাই যথেষ্ট।”