মঙ্গলবার, ১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: বল হাতে ভালো শুরুর পর শেষে এলোমেলো। আর ব্যাটিংয়ে পুরোই হ-য-ব-র-ল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটি এক কথায় যাচ্ছেতাই। চাপ নেই, কিছু নেই— শুধু প্রয়োজন সহজাত খেলা, তাও পারেনি বাংলাদেশ। ২৮ রান স্কোরবোর্ডে জমা না হতেই নাই হয়ে যায় ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এক’শ রানও করতে পারেনি।
ব্রিসবেনের অ্যালেন বোর্ডার ফিল্ডে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সোমবার আগে ব্যাটিং করে আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নবীর ঝড়ে আফগানরা থামে ৭ উইকেটে ১৬০ রান করে। রান তাড়ায় নেমে ৯ উইকেটে ৯৮ রান করে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে আসে মাত্র ২৮ রান, হারায় ৪ উইকেট। পাওয়ার প্লের পর প্রথম বলে হারায় আরও একটি উইকেট। এরপর মূলত বাংলাদেশের ইনিংসই শেষ হয়ে যায়। দলের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬ রান করা মিরাজ খেলেন ৩১ বল।
প্রথম ওভারে ৫ রানে শুরু, দ্বিতীয় ওভারে ফরিদ আহমেদকে অফে দারুণ ড্রাউভে চার মেরে শুরু করেন মিরাজ। একই ওভারের শেষ দুই বলে টানা দুই চারে নাজমুল হোসেন শান্তও দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন। কিন্তু না, ফজল হক ফারুকির তৃতীয় ওভার থেকে পতনের শুরু। ফ্রন্ট ফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন শান্ত (১২)।
এরপর চার ওভারে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। এক ফারুকির বলেই দিশেহারা ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান ফেরেন ১ রানে, আফিফ হোসেন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। নুরুল হাসান সোহান ১ ছয় ১ চারে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে ফেরেন ফরিদের শিকার হয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। ১৭ বলে ১০ রান করে অলআউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফারুকি ৩ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। মুজিব উর রহমানকে যেন খেলতেই পারেনি বাংলাদেশ। ৩ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া নবী ১১ রানে নেন ১ উইকেট।
এর আগে মোহাম্মদ নবীর ঝড়ে আফগানরা থামে ৭ উইকেটে ১৬০ রান করে। ৫টি ছয়ে নবী মাত্র ১৭ বলে ৪১ রান করেন। সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাট থেকে। ৩৯ বলে এ রান করেন তিনি। এ ছাড়া রহমানুল্লাহ গুরবাজ ২৭, হজরতুল্লাহ জাজাই ১৫ ও ডারুইশ রাসুলি ১২ রান করেন। শেষ ২ ওভারে আফগানরা ৩৩ রান করে। এর আগে রানের গতি ছিল সাদামাটা। ডেথ ওভারে বাংলাদেশের দুর্বলতা সাকিব ১৯তম ওভারে ২ ছয় ১ চার হজম করে ১৯ রান দেন। আর শেষ ওভারে তাসকিন ১৪ রান দেন।
যদিও দুজনে শেষ দুই ওভারে ২ উইকেট নেন। এর আগের ৩ ওভারে তাসকিন মাত্র ১৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। সাকিব ৪ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
হাসান শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একইভাবে বোলিং করে গেছেন। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে এই পেসার নেন ২ উইকেট। নিউ জিল্যান্ডে প্রথম ম্যাচে খারাপ খেলে বাদ পড়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ প্রস্তুতিতে বল হাতে উইকেট পাননি। তবে বল হাতে ছিলেন মিতব্যয়ী। ৪ ওভারে ৩১ রান দেন তিনি। এ ছাড়া সৌম্য সরকার ১ ওভারে ৫ রান দেন সৌম্য।
ডেথ ওভারে বাংলাদেশের দুর্বলতা এখনো কাটেনি। শেষ দিকে এলোমেলো বোলিংয়ের স্পষ্ট ছাপ চোখে পড়েছে আফগানদের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও। আর ব্যাটিংয়ে ফুটে উঠেছে দিশাহীন অবস্থা। এমন পারফরম্যান্স যদি প্রস্তুতিতে হয় মূল পর্বে কি হবে?