শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মোহনপুর প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে দোকানঘর ভাংচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়েরের পর সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৫ নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর সাবের আলী মণ্ডল। শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে বাজারের নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, আমি কেশরহাট পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের দুই বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। এছাড়াও আমি কেশরহাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। এ বাজারে আমার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কেশরহাট বাজার রহমান পেট্রোল পাম্পের পাশে অবস্থিত আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবী করে আসছিল। আমি তাদের চাঁদা না দেওয়াই গত ১০ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে কেশরহাট পৌর এলাকার বাকশৈল গ্রামের মৃত মছির উদ্দিনের ছেলে জামাল হোসেনসহ ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ গ্রুপ দোকানে ঢুকে চাঁদা দাবী করে। আমি রাজি না হলে তারা অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে পরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় দোকানঘর ও গোডাউনে ভাংচুর চালিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে চলে যায়। এতে করে আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে নিয়ে যায় এবং আমাদের বের করে দিয়ে দোকান ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এঘটনায় আমি ১২ অক্টোবর আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, তিনি চরম বিপদ মহূর্ত আছেন। গত ১১ অক্টোবর জামাল হোসেনসহ তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর অবৈধভাবে জবরদখল করে চাঁদার দাবিতে আশেপাশে ঘুরাঘুরি করছে। দোকানে গেলে ওই সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বাহিনী আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। অমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর সাবের আলী বলেন, টাকা লুটপাটের সময় দেশি অস্ত্র দেখিয়ে কিল ঘুসি মারায় আমি ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারিনি। আমার সম্পদ হারালে তো জীবন হারাতে পারবোনা। বেঁচে না থাকলে আমি সম্পদ দিয়ে কি করবো। পরে আমি আলোচনা করে বিচারের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করছি। আমি এ ঘটনার বিচার ও সুষ্ট সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেশরহাট পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হক, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসলাম হোসেন, ৯ নং কাউন্সিলর বাবুল আক্তার।
সানশাইন/তৈয়ব