রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মান্দা প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব উচ্চবিদ্যালয়ে হামলা ও গ্রাম পুলিশ খয়রুল ইসলাম খয়েরকে মারধরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী সরদার বাদী হয়ে সোমবার রাতে মান্দা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত রোববার (২ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে সহকারী শিক্ষক মকবুল হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক করছিলেন প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী সরদার। এসময় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগকে কেন্দ্র করে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ধ্যার দিকে বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে কাজে বাধা প্রদানসহ প্রধান শিক্ষককে মারধর করেন।
কশব উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মামলার বাদী মোবারক আলী সরদার বলেন, ‘আসামিরা আমাকে জিম্মি করে রাখলে সহায়তার জন্য মান্দা থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করি। পরে রাত ৭টার দিকে ওসি শাহিনুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স ও গ্রাম পুলিশ খইরুল ইসলাম খয়েরকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। এসময় গ্রাম পুলিশ খয়েরকে মারধরসহ তাঁর পরনে থাকা সরকারি পোষাক ছিঁড়ে নষ্ট করে দেয় হামলাকারীরা।’
এদিকে মামলার সংবাদে বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা আত্মসাত করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী ও সভাপতি ফজলুর রহমান বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার চক্রান্তে মেতে উঠেছেন। অবিলম্বে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা।
উল্লেখ্য, মান্দা উপজেলার কশব উচ্চবিদ্যালয়ে কর্মচারীর পাঁচটি পদে গত ২৬ আগস্ট নিয়োগবোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। শুরু থেকে এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় লোকজন। তা উপক্ষো করে গত রোববার রাতের অন্ধকারে সদ্য নিয়োগকৃত কর্মচারীদের যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার কয়েকশ নারী-পুরুষ বিদ্যালয় চত্বরে সমবেত হয়ে যোগদান অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করে দেয়। এসময় উত্তেজিত জনতার হাতে মারধরের শিকার হন প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী সরদার ও গ্রাম পুলিশ খইরুল ইসলাম খয়ের।