সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, শিশুরাই সমাজের সৌন্দর্য। শিশুরা আছে বলেই সমাজ স্নেহ-ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। তাই শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পরিবার থেকে শিশুদের জ্ঞান অর্জনের হাতে খড়ি হয়ে থাকে। সে দায়িত্ব রাষ্ট্রের পাশাপাশি পরিবারকেও নিতে হবে। আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই পরিবারের সদস্যদের আচার-আচরণ শিশুদের স্বভাব-চরিত্রের উপর প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আদর্শ, সততা ও নৈতিকতার বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, বঙ্গবন্ধু শৈশবকাল থেকেই শিশুবান্ধব ও শিশুদরদি ছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। ২৬ হাজার ১১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতীয় করন করেছেন। ২ কোটি শিক্ষার্থীদেরকে মায়ের মোবাইলের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। মাধ্যমিক লেভেলে জ্যন্ডার সমতা অর্জিত হয়েছে। সেই লক্ষ্যে শিশুর সার্বিক বিকাশের জন্য মৌলিক চাহিদা পূরণে বর্তমান সরকার অত্যন্ত নিষ্ঠার সহিত কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব জনগণের। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি মাদক ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট শিশুদের মাদক পাচারের জন্য ব্যবহার করছে। এই ধরনের অপরাধ সমন্বিতভাবে প্রতিহত করতে হবে। শিশুদের কোনো রকম অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না। যদি কোনো ব্যক্তি করে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজনে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরেরা। শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক মরিওম মঞ্জুরী নিশির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এসওএস চিল্ড্রেন’স ভিলেজ ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প পরিচালক এবিএম বদরুল মনির, শিশু একাডেমি রাজশাহীর পরিচালক শিশু কর্মকর্তা মনজুরুল কাদের।