শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বদলগাছী প্রতিনিধি :
নওগাঁর বদলগাছীতে শিক্ষক কর্তৃক সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সারোয়ার হোসেন অপু। সে বদলগাছীর আলফা ক্যাডেট একাডেমি এন্ড হাইস্কুলের শিক্ষক। এর আগেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। বারবার এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষক অপু মেয়েটিকে স্কুলে ডেকে নিয়ে যায়। কিš‘ স্কুল ছুটি হয় সোয়া তিনটার দিকে। ফাঁকা স্কুলে মেয়েটিকে একা নিয়ে যেতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। সেই মুহূর্তে ঐ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন বদলগাছী থানার কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম। বিষয়টি জেনে সে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে শিক্ষক অপুর আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটি ও ঐ পুলিশ সদস্যকে সরিয়ে দেয়। এ অবস্থায় আশে পাশের লোকজন জড়িয়ে গেলে থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আলফা স্কুলের শিক্ষক অপু আমার মেয়েকে শ্লীলতাহানি করেছে। আমরা গরিব মানুষ কোথাও অভিযোগ করলে আমাদের আরো বিপদ হতে পারে। তাই কোথাও কোন অভিযোগ করিনি। তবে যদি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হয় তাহলে আমরা অনেক খুশি হব।
কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষক সারোয়ার হোসেন অপু ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি কিছুই করিনি। আমার ছাত্রী রুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিল। এক পুলিশ সদস্য এসে ফোনে ছবি উঠায় এবং আমার রুমের দরজা আটকে দেয়।
আলফা ক্যাডেট একাডেমি এন্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া আফরিন বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে শিক্ষক অপুর বিরুদ্ধে পূর্বে এরকম একটা অভিযোগ ছিল।
আলফা ক্যাডেট একাডেমি এন্ড হাইস্কুল এর পরিচালক আতোয়ার রহমান বলেন, শিক্ষক অপু ঐ ছাত্রীকে একটু আদর করেছে এর বেশি কিছু হয়নি। ঘটনাকে তিল থেকে তাল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান বলেন, ঘটনাটি কানে আসার সাথে সাথেই পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু ওখানে কেউ ছিল না। পরবর্তীতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা মেয়ের পরিবার কেউ কোনো অভিযোগ না করায় কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সানশাইন / শামি