সোমবার, ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
ক্রীড়া ডেস্কঃ
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শক্তিশালী ভারতকে হারালেও বেশ সতর্ক বাংলাদেশ। আনন্দের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিতে চান না টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। যে কারণে ভারতের বিপক্ষে বড় একটি জয় পাবার পরও বিশ্রামে না গিয়ে আজও যথারীতি অনুশীলন সেরেছে কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা। আজও প্রতিদিনের মতো কাঠমুন্ডুর আর্মি হেডকোয়ার্টার্স মাঠে অনুশীলনে ঘাম ঝড়িয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
মেয়েদের এবারের দলটির মূল লক্ষ্য সাফের শিরোপা জয় করা। তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েও নির্ভার থাকছেন না তারা। সেমিতে ভুটানের মত সহজ প্রতিপক্ষ পেলেও ফাইনালে আরো শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের পথ রোধ করে দাঁড়াতে পারে উপমহাদেশের শক্তিশালী ভারত। এছাড়া ভুটানকেও হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ। যে কারণেই সবার এমন সতর্কতা।
অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ দলের স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না বলেন, ‘ভারতকে হারানোর পর উল্লাস যা করার এখানেই করেছি। হোটেলে যাবার পর ডিনার করেছি এবং অনেকের পায়ে ব্যাথা ছিল, তারা আইস বাথ করেছে আর চিকিৎসা নিয়েছে। সব মিলিয়ে এখন আমাদের লক্ষ্য সেমিফাইনালের জন্য প্রস্তুত হওয়া।
তিনি বলেন, ‘এই মুহুর্তে আমাদের মুল্য লক্ষ্য ফাইনাল। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য ফাইনালে খেলা, তাই সেটি পূরণ করতে হলে অবশ্যই সেমিফাইনালের বাঁধা টপকে যেতে হবে। ভুটানও অনেক ভালো দল। প্রতিপক্ষ কোন দলকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আগের ম্যাচের মতো ধারাবাহিকতা রেখে সেমিফাইনালেও খেলতে চাই। আশা করি ভালো একটি খেলা উপহার দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারব।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ে মুখ্য ভুমিকা পালনের মাধ্যমে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া কৃষ্ণা রানী সরকার বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে জিতেছি। এতে সবাই খুশী। তবে সামনে দুটি ম্যাচ রয়েছে। সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। এই দুটি জিতে শিরোপা নিয়েই উল্লাস করতে চাই।’
তবে ওই জয়টিকেও গুরুত্বপুর্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসলে সিনিয়র পর্যায়ে এটাই আমার সেরা ম্যাচ। ভারতের বিপক্ষে জেতা সবচেয়ে বড় অর্জন। একটি ফাইটিং ম্যাচ ছিল। ওই ম্যাচে আমি গোল করতে পেরেছি। সব মিলিয়ে আমার কাছে এই ম্যাচটি এই মুহুর্তে সেরা।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, সাফে এই ভারতকে কেউই হারাতে পারেনি। বাংলাদেশ, নেপাল কেউই না। আমরা হারিয়েছি। আমরা যে বিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামি এবং যে কঠোর পরিশ্রম করে এসেছি তার প্রমাণ এটি। এখন যদি সৃস্টিকর্তা সহায় হন তাহলে ট্রফি বাংলাদেশে নিয়ে যাবো আমরা।
সুত্রঃ সমকাল
সানশাইন/তৈয়ব