বৃহস্পতিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩০ বং।
সাপাহার প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর সাপাহারে দিনের আলোয় দরজা-জানালা ভেঙ্গে সন্ত্রাসী কায়দায় বশতবাড়ীতে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ী মারপিট, আসবাবপত্র ভাংচুর সহ বাড়ীর পার্শ্বে থাকা আমবাগানের ৩শ’পিচ আমগাছ কেটে ফেলার বিষয়ে সাপাহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সাপাহার উপজেলার কোচকুড়লিয়া গ্রামের মৃত সাজিরুদ্দীন এর ছেলে হাসান জামান অভিযোগটি করেন।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের মৃত মোস্তফা কামালের ছেলে তানভীর, মৃত সাজিরুদ্দীনের ছেলে রেজাউল করিম, আলাউদ্দীন, মৃত মোস্তফা কামালের স্ত্রী সায়েরা বেগম, ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুরের সাদ্দাম হোসেন সহ ১০/১৫জন লোক বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে শনিবার বিকেলে বশতবাড়ীর দরজা ভেঙ্গে বাড়ীতে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর ও মারপিট করে। হাসান জামান এর স্ত্রী জীবন বঁচানোর তাগিদে আত্মচিতকার শুরু করলে তারা বাড়ী হতে পালিয়ে যায় এবং প্রায় ৩শ’টি আমগাছ কেটে ফেলে। হাসান জামানের পরিবারকে জীবন নাশের হুমকী দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। প্রায় ১০লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে প্রতিপক্ষ মৃত মোস্তফা কামালের ছেলে তানভীর এর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, অভিযোগকারী আমার ছোট চাচা, আমাদের জমিজমা বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তার সাথে আমাদের একটি বিরোধ চলে আসছে। ওইদিন তারা আমার প্রাণনাশের চেষ্টা চালায় এবং বিভিন্ন ধরণের হুমকী প্রদান করে। গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে তার কবল থেকে রক্ষা করে। এই বিষয়ে ওই দিনই থানায় একটি অভিযোগ দেয়। এই জন্যই তারা নিজেরাই আমগাছ কেটে আমাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টার নাটকটি সাজিয়েছেন। সঠিক তদন্ত স্বাপেক্ষে সত্য ঘটনা উম্মোচন করে প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি হোক এটাই আমার দাবী।
এবিষয়ে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি যেহেতু জমিজমা সংক্রান্ত, আদালতে মামলা চলমান সেহেতু বিষয়টি আদলতের ব্যপার। মারামারির বিষয়টি খতিয়ে দেখে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।