শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স নিয়ে তুমুল সমালোচনা থাকলেও তাদের প্রতি নিজের আস্থার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান।
মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ একসময় বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন অপরিহার্য। সময়ের থাবায় তাদের জায়গা এখন নড়বড়ে। পারফরম্যান্সে ভাটার টান অনেক দিন ধরেই। দলে তাদের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নিত্যই। তবে দুঃসময়ে তারা ভরসার বড় হাত পেলেন কাঁধে। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের প্রতি দলের আস্থার কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
মাহমুদউল্লাহ কিছুদিন আগেও ছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ২০১৯ সালে সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দায়িত্ব তিনি পালন করে আসছেন। তবে গত এক বছরে দলের পারফরম্যান্স যেমন বাজে, তেমনি তার ব্যাটিংয়ের অবস্থাও যাচ্ছেতাই। সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সফরের আগে তাকে বিশ্রাম দিয়ে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় নুরুল হাসান সোহানকে। দুটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করার পর সোহান চোট নিয়ে ছিটকে গেলে শেষ ম্যাচের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় মাহমুদউল্লাহকে। তবে তখনও নেতৃত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
সেটি আর ফিরে পাননি তিনি। আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই সংস্করণের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাকিবকে। তাতে বিস্ময়ও খুব একটা জাগেনি। বরং দলে তার জায়গা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪ ইনিংস খেলে তার রান ১৭.৪১ গড়ে ২০৯।
যে পজিশনে তিনি ব্যাট করেন, সেখানে গড়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবশ্য স্ট্রাইক রেট। মাহমুদউল্লাহ বিবর্ণ সেখানেও, স্ট্রাইক রেট কেবল ১০০.৪৮! জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল মুশফিকুর রহিমকেও। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি যাননি হজে যাওয়ার কারণে। এবার এশিয়া কাপের দলে তাকে নেওয়া হলেও প্রশ্ন থেমে নেই।
২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে দিল্লিতে ম্যাচ জেতানো ফিফটির পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭ ইনিংস খেলেছেন তিনি। স্রেফ ১৬.৭১ গড়ে রান করেছেন ২৩৪। স্ট্রাইক রেট ভয়াবহ (৯৬.৬৯)। এই সময়ে ১০ ইনিংসে আউট হয়েছেন তিনি দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে। দলে এই দুজনের জায়গা ও ভূমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠল সোমবার সাকিবের সংবাদ সম্মেলনে। তবে জাতীয় দলে দীর্ঘদিনের দুই সতীর্থের ওপর ভরসা রাখার কথাই বললেন অধিনায়ক।
“উনারা দুজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই সিস্টেমের। উনারা এটা সম্পর্কে অবগত, উনারা জানেন দায়িত্বটা কী, জানেন চ্যালেঞ্জগুলো কী কী। উনারা জানেন একদম কোন পরিস্থিতিতে তারা আছেন। আমার আলাদা করে এখানে কিছু বলার নেই।” “এতদিন খেলার পর উনারা ভালো করেই পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন। আমরাও জানি, আমরা উনাদের থেকে কী প্রত্যাশা করছি। যেটা আমি বললাম, তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ দলের।”