শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে ভাতিজাদের হামলায় দুই চাচাসহ আটজন আহত হয়েছেন। বুধবার রাত দশটার দিকে উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভার গোয়ালিফা মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন এবং ওসি আবু সিদ্দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে মৃত সাদেক শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান হুরমত (৬৫) ও তার ছেলে শাহ আলম শেখ (৪৬), ওসমান গনির ছেলে আব্দুস সোবহান (৪৪) ও আব্দুল মালেককে (৩৭) রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া রফিকুল ইসলাম শেখ (৫৮) ও শের আলী শেখের ছেলে আশরাফুল ইসলাম আকাশ (৩৫) বড়াইগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া আরিফুল ইসলাম (৩২) ও রিয়াদকে (১৮) প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, দুপুরে গোয়ালিফা মহল্লার দুই সহোদর ভাই শের আলী শেখ ও হাবিবুর রহমান হুরমত শেখের মধ্যে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি নিয়ে উত্তপ্ত তর্ক বিতর্ক হয়। এ ঘটনার জের ধরে রাত দশটার দিকে লোডশেডিং চলাকালে শের আলী শেখের দুই ছেলে শফিকুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম আকাশের নেতৃত্বে ৭-৮ জন ব্যক্তি হাবিবুর রহমান হুরমতের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় তারা স্থানীয় ভাবে তৈরী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই চাচা সহ অন্যদের এলোপাথাড়ি আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার সময় নারী ও শিশুরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারপিট করা হয় বলে জানা গেছে। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত হাবিবুর রহমান হুরমত বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে লোডশেডিং চলাকালে ভাতিজারা আমার বাড়িতে হামলা ও মারপিট করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম আকাশ জানান, কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটে গেছে। আমার নিজেরও আঘাত লেগেছে, হাসপাতালে এসেছি।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।