বৃহস্পতিবার, ১১ই আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে শ্রাবণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাওয়া অতিদরিদ্র মানুষদের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীকে কুটুক্তি করেছেন দল থেকে বহিস্কৃত(বিদ্রোহী প্রার্থী)বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান। এ ঘটনায় পক্ষ নিয়ে কথা বলায় তাঁর একান্ত আস্থাভাজন শিবলু রহমাকে গণধোলায় দিয়েছেন স্থানীয় জনতা। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে এক শালিস বৈঠকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেত্রীবৃন্দ-সহ সকল ইউপি সদস্যদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেনে ঐ চেয়ারম্যান।
সরেজমিন শুক্রবার(22জুলাই)বিকেলে উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায় শত-শত মানুষ বারান্দাসহ বাইরে ভিড় জমিয়েছেন। আর পরিষদের কক্ষে চলছে শালিস বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন ,সাবেক উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, নয়টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ সকল ইউপি সদস্য।
বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা জাহিদ হোসেন জানান, গত ৫ দিন পূর্বে উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের অধীন হতদরিদ্রদের নামে বরাদ্দ ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাওয়া ১২ শ’ কার্ড ধারীকে তাদের কার্ড ডিজিটাল করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিতে মাইকিং করান চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান ।অত:পর কার্ড ধারিদের বাধ্যতা মূলক হোল্ডিং ট্যাক্স পরিষদ করার ঘোষনা দেন।এ নিয়ে গত ২০ জুলাই কিছু সংখ্যাক মানুষ প্রধানমন্ত্রীর মোহনা ভুতির উদ্বৃতি দিয়ে কথা বললে চেয়ারম্যান বলেন, “দেশকি প্রধানমন্ত্রী কিনে নিয়েছেন’’ ? এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।এ সময় বাউসা বাজারে চেয়ারম্যান পক্ষ নিয়ে কথা বলে তার আস্থাভাজন শিবলু রহমান। ঘটনার এক পর্যায় স্থানীয় লোকজন তাকে গণধোলায় দেন।
এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নিজ বাড়িতে অবস্থান নেন চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান। এতে করে তার নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেত্রীবৃন্দ। অবশেষে মামলা ঠেকাতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ সহ সকল ইউপি সদস্যদের ডেকে শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে শালিস বোর্ডের আয়োজন করেন চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান। সেই শালিসে সকলের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চান তিনি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুটুক্তি করার বিষয়টা যেমনটি শুনেছেন, ঘটনাটা ঠিক সেরকম নয়। তবে ১০ টাকা দরে কাড ধারিদের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স চেয়ে ছিলাম। শালিসে ঘোষনা দিয়েছি এই ট্যাক্স নেব না।