বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় স্কুল ছাত্র রাজিব হত্যার লাশ উদ্ধারের ৬ দিন পর আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত তিন কিশোরকে আটক করে পুলিশ। গত ১৪ জুলাই রাতে তাদের আটক করা হয়। পুলিশের কাছে আটককৃতদের স্বীকারুক্তিতে জানা জায় , নগদ ২০ হাজার টাকা এবং একটি দামি মোবাইল হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে তারা রাজিবকে হত্যা করে।
তবে পরবর্তীতে স্থানীয় একাধিক সোর্সের মাধ্যমে জানা গেছে চমকপদ কিছু তথ্য। অনেকেই বলছেন , একজন রাজনৈতিক নেতার ছত্র ছাঁয়ায় এখানে গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং । ওরা সেই গ্যাং এর সদস্য। মূলত: মাদক সেবন, বিক্রী এবং বিকাশ হ্যাকিং এর টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে রাজিবকে হত্যা করা হয়। পুলিশ রাজিবের মোবাইলটি উদ্ধার করতে পারলে ঘটনার সকল রহস্য উন্মুচিত হবে।
বাঘা থানা পুলিশের একটি মুখপত্র জানান, গত ৮ জুলাই উপজেলার কলিগ্রাম এলাকায় মূল নদীর শাখা (মরা)পদ্মা থেকে স্কুল ছাত্র রাজিব এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনার তিনদিন পূর্বে বিকেল বেলা রাজিব নিজ এলাকা ছাতারির বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরেনি। তবে ঘটনার ৬ দিন পর বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ১৩ জুলাই রাতে আইনের সহিত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার অপরাধে রাজিবের চার বন্ধুর মধ্যে তিন বন্ধুকে আটক করে পুলিশ।
এর মধ্যে সর্ব প্রথম ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারি সবুজকে আটক করা হয়। সুবজের বাড়ী উপজেলার চকছাতারি গ্রামে। পুলিশ জানায়, সবুজের স্বীকারুক্তি পেয়ে মাত্র দুই ঘন্টার ব্যবধানে তাঁরা অপর দুই কিশোর সৈকত এবং পিয়ালকে আটক করে। এদের দু’জনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী কলিকগ্রাম এলাকায়। অপর একজন অদ্যাবধি পলাতক রয়েছে। সেই সাথে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি সিনিয়ে নেয়া মোবাইল।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার সর্তে স্থানীয় একাধিক সোর্স বলছে, যে খুন হয়েছে এবং যারা খুন করেছে তারা সবাই অত্র এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসাবে পরিচিত। এরা প্রত্যেকে মাদক সেবন , বিক্রী এবং বিকাশ হ্যাকিং এর সাথে সম্পৃক্ত। এদেরকে নিয়ন্ত্র করছেন স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা । যা অনুসন্ধ্যান করলে বেরিয়ে পড়বে। সোর্স আরো জানায়, ছাতারী এলাকার গড়ে উঠা উক্ত কিশোর গ্যাং এর জন্য তিন রাস্তার মোড়ে একটি ক্যারাম বোর্ড সহ বসার জায়গা (ঘর) করে দিয়েছেন ঐ নেতা।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাজ্জাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখন সার্বিক তথ্য দেয়া যাচ্ছে না। তবে যারা আটক হয়েছে তারা ধুমপান এবং মাদক সেবন সহ রাজিবকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। আশা করছি, পলাতক কিশোর সহ রাজিবের সিনিয়ে নেয়া মোবাইলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হলে এই হত্যার সকল রহস্য উন্মুচিত হবে।