সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাট হাতে রানের স্রোত বইয়ে দেওয়া ফারজানা হক পিংকি আলো ছড়ালেন আরও একবার। টানা তিন ফিফটি ও এক সেঞ্চুরির পর এবার খেললেন পঞ্চাশ ছাড়ানো অপরাজিত ইনিংস। বল হাতে আবারও আলো ছড়ালেন নাহিদা আক্তার। জাতীয় দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সৌজন্যে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উড়িয়ে দিল রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ।
মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শুক্রবার ৮ উইকেটে জিতেছে রূপালি ব্যাংক। প্রতিপক্ষকে ১৫৭ রানে থামিয়ে ৭৫ বল আগে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে তারা। রান তাড়ায় তিনে নেমে ৫ চারে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে মাঠ ছাড়েন ফারজানা। আগের চার ইনিংসে করেন ৭৫, অপরাজিত ৫৩, অপরাজিত ৫৫ ও অপরাজিত ১২৪। এখন পর্যন্ত ৩৬৪ রান করে সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই। পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই অপরাজিত থাকায় গড় ৩৬৪!
প্রথম দুই ম্যাচে উইকেট না পাওয়া নাহিদা এখন যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এদিন ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আসরে এই বাঁহাতি স্পিনারের মোট উইকেট হলো ১৩টি। আগের দুই ম্যাচে পেয়েছিলেন পাঁচটি ও চারটি উইকেট। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই হয় বিকেএসপির। উন্নতি আক্তার ও ইভার উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯৭ রান। যদিও এই রান তুলতে তারা কাটিয়ে দেন ৩১ ওভারের বেশি।
৫ চারে ৯৬ বলে ৪৬ রান করা ইভাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাহিদা। পরে লাখি খাতুন ফেরান ১১০ বলে ৬ চারে ৪৯ রান করা উন্নতিকে। শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে পরে দ্রুত রান তোলার দাবি মেটাতে পারেননি বিকেএসপির ব্যাটাররা। পরের ৯ জনের মধ্যে কেবল তিনে নামা সুমাইয়া যেতে পারেন দুই অঙ্কে, করেন ৩ চারে ২৭ রান। তিন ব্যাটার পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ।
নাহিদার সঙ্গে দুর্দান্ত বোলিং উপহার দেন লাখি। ৩৩ রান দিয়ে তার প্রাপ্তি ৩ উইকেট। ব্যাটিংয়ে রূপালি ব্যাংক ১৪ রানে হারায় প্রথম উইকেট। এরপর দলকে টানেন সানজিদা ও ফারজানা। তাদের জুটিতে আসে ১২৭ বলে ৮৯ রান। ৭ চারে ৪৫ রান করা সানজিদা বোল্ড হলে ভাঙে জুটি। নিগার সুলতানাকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন ফারজানা। ৮৩ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন ফারজানা। নিগার অপরাজিত থাকেন ৩ চারে ২৫ রান করে। তাদের ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যায় রূপালি ব্যাংক।