শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: বাগমারায় চাল আটাকে ছড়িয়ে গেছে ভুসির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি বস্তা ভুসির দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে পৌর শহর ভবানীগঞ্জ বাজারে প্রতিকেজি ভুসি ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ একই বাজারে চিকন চাল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা টাকা এবং প্রতি কেজি আটার প্যাকেট ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পৌর বাজারের ফিড ব্যবসায়ী আবু তালেব জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবধরনের গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। মান ভেদে প্রতি কেজি ভুসি ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে প্রতি কেজি চিকন চাল মান ভেদে ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা এবং মোটা চাল ৩৬ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকানী সাইদুর জানান, বর্তমানে ভাল মানের প্যাকেট আটা কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই উপজেলার তাহেরপুর বাজারের একই চিত্র লক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি এই বাজারের কয়েকটি পশুখাদ্যের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে ক্রেতার উপস্থিতি একেবারে কম। এখানেও ভুসি ও ফিডের দাম বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় দুধের দাম কম। এ কারণে এখানকার খামারীরা প্রয়োজনের তুলনায় কম করে গোখাদ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
কোয়ালীপাড়ার গরুর খামারী ময়েজ উদ্দিন জানান, গোখাদ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে করে গরু পালন করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। তার খামারে আটটি গাভী রয়েছে। প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার খাদ্য খাওয়াতে হয়। সঙ্গে অন্যান্য খরচও রয়েছে।
উপজেলার প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বত্রই গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঘাষ চাষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে প্রদর্শনী প্লট তৈরি করা হবে। এখানে ঘাস উৎপাদন ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, শুধু গোখাদ্যের মূল্য নয় সবধরনের নিত্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই খামারী ও কৃষকদের গোখাদ্যের সংকট মোকাবেলার জন্য বিকল্প পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।