বৃহস্পতিবার, ২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে এক খামারী অন্যগ্রাম থেকে হাঁসের ব্যবসা করতে এসে পড়েছে বিপাকে। স্থানীয় দুই-তিন গ্রুপের বখাটে ছেলেরা কেউ চাইছেন চাঁদা, কেউ নিয়ে যাচ্ছে হাঁস আবার কেউ খামারে বসে করছে মাদক সেবন এমন অভিযোগ ওই খামার ব্যবসায়ী শাহিন হোসেনের। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনায় লোকসান ও হয়রানি হতে হচ্ছে খামার ব্যবসায়ীকে। উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়ন সান্দিড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। প্রাণের ঝুঁকিতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে মুখ খুলতে নারাজ ভুক্তভোগী খামার ব্যবসায়ীর।
জানা গেছে, উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়ন সান্দিড়া গ্রামের বিলপারে অবস্থিত হাঁস খামারটি। শাহিন ও ইসমাইল হোসেন দু’জন শেয়ারে এই খামারটি পরিচালনা করেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে অন্যগ্রাম থেকে এসে এখানে ব্যবসা করছে। হঠাৎ স্থানীয় কিছু বখাটে ছেলেদের কুনজরে পড়ে খামারটিতে। প্রতিনিয়ত প্রভাব খাটিয়ে দুই-তিন গ্রুপের বখাটে ছেলেরা ঝামেলা করতে
থাকে। কখনো কেউ এসে চায় টাকা আবার কেউ চায় হাঁস। আবার কেউ ঘন্টার পর ঘন্টা খামারে বসে করছে মাদক সেবন। গত ৬ মাস ধরে তাদের এমন হয়রানি হতে হচ্ছে খামারীকে। এ যেনো দেখার কেউ নাই।
ভুক্তভোগী হাঁস খামারী শাহিন বলেন, ৪ মাস আগে সান্দিড়া গ্রামের জুয়েল গ্রুপের ৫-৬ জন জোর করে ৫টি ডিমপারি হাঁস নিয়ে যায়। কয়েকদিন পর একই গ্রামের স্বপন ও রনি গ্রুপের ৪টি হাঁস। এরপর এবাদুল ও রিপন গ্রুপরা নেশা করতে এসে ৬০টি হাসের ডিম নিয়ে যায়। এছাড়াও সপ্তাহে ২দিন খামারে বসে এবাদুল, রিপনসহ ৪জন মাদক সেবন করে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এবাদুল ও রিপন গ্রুপের ৮-১০ জন ফাঁড়ি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে জোর করে ৫ টার জায়গায় ২ টা হাঁস নেয়। বাধা দিলে গালিগালাজসহ হুমকি ধামকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে তারা টাকা চায়। দিতে না চাইলে হুমকি দিয়ে বলে একদিন দলবদ্ধ ভাবে এসে সমস্ত হাঁস নিয়ে যাব তখন কে বাঁচাই দেখবো। এদের চাহিদা বেশি মাঝে মধ্যে গায়ে হাত তুলতেও লাগে। এখন ওদের গ্রামে থাকি রাতের আধারে চলাফেরার জন্য প্রাণের ভয়ে কিছু বলিনা। এ বিচার কোথায় দিবো বুঝতে পারছিনা। নিরুপায় হয়ে সব সহ্য করছি। এ যেনো মগের মুল্লুক এমন টাই বলছেন ভুক্তভোগী শাহিন হোসেন।
এবাদুল ও রিপন বলেন, ওখানে মাঝে মাঝে যাই। দুটা হাঁস নিয়ে আসছিলাম টাকা দিতে চাইছি তারাই তো নিতে চায়নি। আমাদের গ্রামে এসে ব্যবসা করবে আবার সাংবাদিকদের জানাবে বিষয়টি দেখা দরকার?
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম ও উপ পরিদর্শক রকিব হোসেন বলেন, আমারা এবাদুল ও রিপনকে চিনিই না। হাঁস নিয়ে আসা তো দুরের কথা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।