সোমবার, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্ন কর্মচারী পদে চাকরি করেন ফয়েজ উদ্দিন।ভাবটা এ রকম যে, তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একজন বড় কর্মকর্তা। চড়েন দামি মোটর সাইকেলে।তার নামে বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার নামে পাঁচটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেছেন পাঁচজন ভুক্তভোগী।ফলে পুলিশের চোক ফাঁকি দিয়ে তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিচ্ছন্ন কর্মচারী ফয়েজ উদ্দিনের নামে বিভিন্ন জনকে চাকরি পাইয়ে দেয়ার নামে পৃথক ভাবে বাঘা থানায় একটি এবং আদালতে চারটি মামলা দায়ের করেছেন পাঁচজন ভুক্তভোগী।এদের কাউকে ডাটা এন্টি (কম্পিউটার অপারেটর) আবার কাউকে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি দেয়ার নামে তিনি লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন।এর সঠিক সংখ্য কতজন হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে নিরুপায় হয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে পাঁচটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেছেন।
বাঘার আমোদপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে ইসমাতারা (শিল্পী) জানান, ফয়েজ উদ্দিন ডাটা এন্টি(কম্পিউটার অপারেটর) পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে 10 লক্ষ টাকা চুক্তি করে আমার বাবার নিকট থেকে নগদ চার লক্ষ টাকা গ্রহন করেছেন। তার সময় সীমা ছিল মাত্র চার মাস। কিন্তু গত এক বছরেও সে চাকরি দিতে পারেনি। নিরুপায় হয়ে তিনি রাজশাহী কোর্টে একটি মামলা করেছেন।
অপর দিকে চন্ডিপুর গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে শামসুজ্জামান স্বাস্থ্য সহকারী পদে 15 লক্ষ টাকা চুক্তিতে ফয়েজ উদ্দিনকে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা দেন। এরপর মাসের পর মাস ঘুরে চাকরি না হওয়ায় অবশেষে তিনি বাঘা থানায় একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর 9 তারিখ 11 অক্টবর-2021 । অনুরুপ কথা বলেন, নওটিকা গ্রামের তমিজ ইদ্দনের ছেলে ডাবলু হোসেন।
এ বিষয়ে ফয়েজ উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এ সংবাদ লেখার পূর্বে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে অবস্থিত তার নিজ বাড়িতে গেলে সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান কর্মকর্তা ডা: রাশেদ আহাম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি লোক মুখে শুনেছি। সে এই মুহুর্তে ছুটিতে আছে।
তবে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার নামে এ পর্যন্ত আদালতে চারটি এবং থানায় যে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে তার যথেষ্ট প্রমান ও সত্যতা পাওয়া গেছে। এ মর্মে আমরা প্রতিটি মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছি।