সোমবার, ২৭শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘার ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ ও হযরত শাহদৌলার মাজারের সৌন্দর্য বর্ধনে অবশেষে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা (দোকান)। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনদিন পূর্বে এসব স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য মাইকিং করার এক পর্যায় সোমবার(২১ ফেব্রুয়ারী) বিকেল থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের স্থাপনা তুলে নিচ্ছেন।
বাঘার সুধীজনরা জানান, বাঘা মাজার শরীফের জমিতে গত এক বছর ধরে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছিল প্রায় দুই শতাধিক দোকান (অবৈধ স্থাপনা)। এর ফলে একদিকে যেমন বাঘা-লালপুর যাওয়ার প্রধান পাকা রাস্তা থেকে ৫শ’ বছরের ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ, মাজার, দিঘী ও জাদুঘর দেখা যেতনা। অন্যদিকে ভূগান্তির শিকার হচ্ছিলেন ভ্রমন প্রিয় হাজার-হাজার দর্শনার্থী। তাই এসব স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য গত তিনদিন পূর্বে জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে মাইকিং করে উপজেলা প্রশাসন। এই মাইকিং শুনে সোমবার বিকেল থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান সরিযে নিতে শুরু করেছেন।
স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন জানান, আমাদের দেশে অন্যের জায়গায় অন্যায় ভাবে স্থাপনা গড়ে তোলার প্রবণতা অত্যন্ত প্রবল। এই “অন্য” যদি হয় রাষ্ট্র বা সরকারি কোনো খাস জমি কিংবা ফুটপাত তাহলে তো অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার হিড়িক পড়ে যায়। কোন-কোন ক্ষেত্রে হাট-বাজার এলাকায় খাস জমিতে অবৈধভাবে দোকানপাট, এমনকি পাকা মার্কেটও গড়ে তোলা হয় রাতা-রাতি। তার পরে প্রশাসনের টনক নড়ে। ঠিক এমনটি অবস্থা বিরাজ করছিলো বাঘা মাজার শরীফের জমিতে ।
এ বিষয়ে বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাজার এবং মসজিদ এলাকার জমির অথরাইজ মাজার কর্তৃপক্ষ। এই কমিটিতে যদিও আমি আছি,তবে আমার উপরে রয়েছেন এডিসি রেভিনিউ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার। আমার চাওয়া, এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার পাশা-পাশি তাদের আলাদা কোন স্থানে পূর্নবাসন করা হোক।
সার্বিক বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, বাঘার ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ এলাকা থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) সরিয়ে ফেলার জন্য মাইকিং হওয়ার পর প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী আমার কাছে জায়গা চেয়ে আবেদন করেছেন। আমি স্থানীয় সাংসদ ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলে পরবর্তীতে এসব ব্যবসায়ীদের পূর্নবাসন করার ব্যবস্থা করবো।