প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার

ঢাকা অফিস: ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে পুরো শহিদ মিনার এলাকা। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হবে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহর। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সব স্তরের মানুষ। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যাওয়ার পথ নির্ধারণ করে দিয়েছে একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্বাস্থ্যবিধিও ঠিক করা হয়েছে। সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ দুজন একসঙ্গে শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এ সময় সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। লোকসমাগম সীমিত রেখে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহিদ মিনারে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ঘুরে দেখা গেছে, পুরো এলাকা নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। র‌্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে। সমগ্র এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। জনসাধারণকে সতর্ক করতে লাগানো হয়েছে ডিজিটাল সাইনবোর্ড। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের ডানপাশে র‌্যাব, ডিএমপি ও ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের মূল বেদীসহ সম্মুখভাগে শেষ হয়েছে আলপনা আঁকার কাজ। বাম পাশের দেয়ালে ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন চিত্র আঁকা হয়েছে। মূল বেদির ঠিক বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের দেয়ালে লাল রঙে লেখা হয়েছে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। চারদিকের দেয়ালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কাজী নজরুল ইসলামসহ বিখ্যাত মনীষীদের ভাষাবিষয়ক উক্তি লেখা হয়েছে। জনসাধারণকে পলাশী মোড় দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল এবং জগন্নাথ হলের পাশের রাস্তা হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যেতে হবে। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর এবং পেছনের রাস্তা দিয়ে চানখারপুল হয়ে বের হতে হবে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২ | সময়: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ