বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীতে প্রকাশ্যে চলছে দীঘি ভরাট। তবে এখন পর্যন্ত এনিয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি স্থানীয় প্রশাসনকে। নগরীর সপুরায় অবস্থিত ৯ বিঘা আয়তনের শুকান দীঘিটি রক্ষায় এখনই ব্যবস্থা নেয়া না হলে তা দ্রুতই হারিয়ে যাবে বলে মত স্থানীয়দের।
সূত্রমতে নগরীর জলাধার সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প আওতায় রয়েছে ২২টি পুকুর ও দীঘি। যার মধ্যে রয়েছে এই শুকনা দীঘির নাম। প্রকল্পটি পাশ হলে জলাধারগুলোর জমি অধিগ্রহণ করে সংস্কার করে তার চতুর দিকে সৌন্দর্য বর্ধন করা হবে। ঠিক যেভাবে নগরীর পদ্মা-পারিচাত আবাসিক এলাকার লেক ও সিবিক শিল্পনগরী এলকায় অবস্থিত দীঘিটি সংস্কার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে, নগরীর একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে সড়ক বাতি বন্ধ করে দিয়ে ট্রাকে করে বালি নিয়ে এসে শুকান দীঘিতে ফেলছে ভরাট করার উদ্দ্যেছে। শুক্রবার রাতে দীঘিতে গিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তবে ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছে না। শুক্রবার রাতে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক বাতি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন যুবক দীঘিটির উত্তর ও পূর্ব প্রান্তে অবস্থান করছে। বালি ভর্তি ট্রাক আসলে তারা নানা ভাবে সহযোগীতা করছে ওই বালুগুলো দীঘিতে ফেলতে। এছাড়া কেউ সেখানে দাড়ালে তাকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবে এরই মধ্যে দীঘিটির উত্তর ও পূর্ব প্রান্তের বেশ খানিকটা অংশ ভরাট করা হয়েছে।
সপুরা এলাকাটি রাসিকের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানার মধ্যে। ওই ওয়ার্ডটির কাউন্সিলর আবদুস সোবহান লিটন। তিনি জানান, শুকার দীঘির জমির মালিকানায় রয়েছ একাধিক মানুষ। এর মাঝে অশিদারেরা কেনা-বেচাও করেছেন। নগরীর যে ২২টি পুকুর বা জলাশয় সংরক্ষণের জন্য রাসিকের পরিকল্পনা রয়েছে তার মধ্যে এই শুকান দীঘির নাম রয়েছে। তিনি নিজেই দীঘিটি সংরক্ষণের জন্য নাম দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে কে বা কারা দীঘিটি ভরাটের চেষ্টা করেছে তিনি তাদের চিহ্নিত করতে পারেননি। তবে তিনি দাবি করেন যতই চেষ্টা করা হোন ৯ বিঘার এই দীঘিটি ভরাট করা সম্ভভ হবে না।
রাসিকের সচিব মো. মশিউর রহমান বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশেল সুরক্ষার পাশাপাশি রাজশাহীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে শহরের বিভিন্ন এলাকার মোট ২২টি পুকুর বা দীঘি সংষ্কারের মাধ্যমে সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা রয়েছে রাসিকের। এসংক্রান্ত প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই পুকুরগুলোর কোনোটি সরকারি আবার কোনোটি ব্যক্তিমালিকানাধীন। ২২ পুকুরের তালিকায় শুকান দীঘির নামও আছে। প্রকল্পটি পাস হলে ব্যক্তি মালিকানায় থাকা পুকুরের জমি অধিগ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, বিদ্যমান আইনে পুকুর বা জলাধার ভরাটের কোন সুযোগ নেই।