সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহীর বাঘায় ইমো প্রতারণা ও বিকাশ হ্যাকের সাথে সম্পৃক্ত চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার সরেরহাট স্কুল মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে পুলিশ ৭টি মোবাইল এবং ২২টি সিমকার্ড উদ্ধার করেছে।
বাঘা থানা পুলিশের একটি মুখপত্র জানান, উপজেলার সরের হাট স্কুল মাঠে রাত ১০ টার সময় একইস্থানে বসে মোবাইল ব্যবহার করছিল পাশ্ববর্তী লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের মনিহারপুর গ্রামের চার যুবক।
এরা হলো মাজদার রহমানের ছেলে সজীব আলী (২২), মুনছার আলীর ছেলে রনি ইসলাম (২০), রবিউল ইসলামের ছেলে শাওন (২২) ও সায়েম আলীর ছেলে ঝুন্টু আলী (২১)।
এ সময় বাঘা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক স্বপন সঙ্গীয় পুলিশ ফোন নিয়ে তাদের আটক করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি এ্যাপাসি মোটর সাইকেল, ৭টি মোবাইল এবং ২২টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহীর বাঘায় ইমো-বিকাশ হ্যাকারদের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে শত-শত মানুষ। একদল সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ফেসবুকের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়তই প্রতারিত করছেন সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও সুবিধা চালু হবার পর এই প্রতারনায় এসেছে নতুন মাত্রা। এখন সরাসরি লাইভ ভিডিওতে বিকাশ নেয়ার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে ইমো প্রতারণা।
এ ছাড়াও হোয়াটসএ্যাপে ফোন সেক্সের আহবান জানানো হচ্ছে, কিন্তু শর্ত হলো একটাই- আগে বিকাশ, তবেই মিলবে ইমোর নম্বর, নতুবা নয়। আর এসব অফারে প্রতিনিয়ত বিকাশে টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হচ্ছে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
থানা সুত্রে জানা গেছে, গত ৬ মাসে এ উপজেলায় আশংকা জনক হারে বেড়েছে ইমো-হ্যাকারদের প্রতারনা। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার গড়গড়ি ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের প্রবনতা অন্য যে কোন এলাকার চেয়ে অনেক বেশি। সম্প্রতি বাঘা থানা পুলিশ এসব প্রতারণা চক্রের সাথে সম্পৃক্তদের তালিকা সংগহ্র শুরু করেছেন।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, যারা ইমো-বিকাশ হ্যাকের সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে হ্যাকার না বলে, এখন থেকে ডাকাত বলবেন। আমরা এই চক্রের সাথে সম্পৃক্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টায় আছি। মঙ্গলবার আটক চারজনকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।