বুধবার, ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
ঢাকা অফিস: জীবনে বহু মানুষ ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। অনেকে দাঁড়িয়েছে তার পাশে। তবে প্রেমকে নিজের জীবন থেকে দূরেই রেখেছিলেন কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। বিয়ে করেননি, হয়নি সেই অর্থে ঘর-সংসার। আর সেই কারণেই নেই লতার উত্তরসূরি।
অন্যদিকে, একেবারে আটপৌরে জীবনযাপন করতেন তিনি। অথচ ঈশ্বর তাকে কণ্ঠের সঙ্গে দিয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, লতার সম্পদের পরিমাণ ১৫ মিলিয়ন ডলার। যা ১১১ কোটি রুপির সমতুল্য। আর মাসে আয় করতেন প্রায় ৪০ লাখ টাকা। ছিল হোটেলসহ নানা ধরনের ব্যবসা। অন্য একটি সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, সব মিলিয়ে লতার সম্পদ ৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো, সন্তানহীন এই তারকার সম্পদগুলো কে পাচ্ছেন? তবে আপাতত তার উত্তর এখনও মেলেনি। দ্রুতই হয়তো জানা যাবে তার উইলগুলো। বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই মুখ খুলবেন তার আইনজীবী। উল্লেখ্য, ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম এক মারাঠি পরিবারে। বাবার হাত ধরেই গান ও অভিনয়ের জগতে প্রবেশ করেন তিনি। ১৩-১৪ বছরে প্রথম গান গেয়েছিলেন মারাঠি ছবিতে। হিন্দিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন ‘মজবুর’ সিনেমা দিয়ে। লতার সুরেলা কণ্ঠ সিনেমা ও গানে প্রাণ ঢেলে দিতো। নক্ষত্রপতনে তাই শোকস্তব্ধ দুনিয়া। ২৭ দিন ধরে করোনা, চলেছে নিউমোনিয়ার সঙ্গে লড়াই। ৯ জানুয়ারি লতার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছিল লতার। ৩০ জানুয়ারি তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ভেন্টিলেশন থেকে বের করেও নিয়ে আসা হয় সুরসম্রাজ্ঞীকে। এরপর আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ১২ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর।