মঙ্গলবার, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: ‘অবৈধ’ পলিথিনের বিস্তার রোধ করে পাটের ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি মাসে (ডিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, পলিথিনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পাটমন্ত্রী বলেন, “উপজেলায় প্রতি মাসে দুটো করে এবং বিভাগীয় ও জেলা শহরে মাসে অন্তত একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। যাতে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হয়।” তিনি জানান, যে ১৯টি পণ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা মানা হচ্ছে কি না দেখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকেও নজরদারি করা হচ্ছে।
‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ অনুযায়ী ধান, চাল, গম, ভূট্টা, সার, চিনি মরিচ, হলুদ, আদা, রসুন, ধনিয়া, পেঁয়াজ, ডাল, আলু, আটা,ময়দা ও তুষ-খুদ-কুড়ায় পাটের মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, “বস্ত্র খাত থেকে এখন প্রধান রপ্তানি আয় হয়। পাট খাত অনেক নিচে ছিল। মহামারীর সময় এটি চামড়া খাতকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
“পৃথিবীব্যাপী আর্টিফিসিয়াল ফাইবার ডেসক্রাইব করছে, ফলে বিশ্বে পাটের ব্যবহার বেড়ে গেছে, পলিথিন বাদে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করছে।” করোনাভাইরাসের কারণে গেল অর্থবছরে তৈরি পোশাকসহ বড় সব খাতের রপ্তানি আয়ে ধস নামলেও পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ে বরাবরই দেখা গেছে উল্টো চিত্র।
রপ্তানি উন্নয় ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নভেম্বরের পর ২৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ মোট ৮৮ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করেছিল। ওই অঙ্ক ছিল আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
পাটমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রপ্তানি রেড়ে গেছে। পূর্ব পাকিস্তান থাকাকালে পাটখাত থেকে সবথেকে বেশি আয় ছিল। পলিথিন আসার পর সেই বাজার পড়ে যায়, এখন এটা আবার আসছে। “আমার মনে হয় বস্ত্র ও পাটখাতে রপ্তানি করতে পারলে আমাদের অর্থনীতি আরও বড় হবে।” তিনি জানান, সরকার পাটকলগুলো বন্ধ করে লিজ পদ্ধতিতে যাবে। বেসরকারিখাতের হাতে ব্যবস্থাপনা থাকবে। এজন্য পাঁচটি টেন্ডার করা হয়েছে, মাসখানেকের মধ্যে সেসব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।