বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বুধবার ২০২১-২০২২ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠান ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসস্থ শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে কোর্স সম্পন্নকারী অফিসারদের মাঝে ভার্চুয়াল মাধ্যমে গ্র্যাজুয়েশন (পিএসসি) সনদপত্র বিতরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বাঙালির অধিকার আদায়ের সফল মহানায়ক, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি সকল গ্র্যাজুয়েটকে সাফল্যের সঙ্গে কোর্স সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি তাদের সকলকে অর্জিত জ্ঞান, ইচ্ছাশক্তি ও অঙ্গিকার সামনে রেখে দেশকে একটি স্থিতিশীল, টেকসই, আত্মনির্ভরশীল ও সর্বোপরী গৌরবময় অবস্থানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপদেশ প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও কোন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ব্যাহত না করে সফলভাবে কোর্সটি পরিচালনা এবং সম্পন্ন করার জন্য কমান্ড্যান্ট, ডিএসসিএসসি’কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কমনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন। কমান্ড্যান্ট তার ভাষণে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রশিক্ষনার্থীদের প্রস্তুতকল্পে প্রশিক্ষন কার্যক্রমে অর্ন্তভুক্ত বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। পরিশেষে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কলেজের উন্নয়নে অনবদ্য সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য কলেজের পক্ষ হতে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ বছর ডিএসসিএসসি কোর্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩২ জন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৩৪ জন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৩৫ জন, বাংলাদেশ পুলিশের ৩ এবং বন্ধুপ্রতীম ১৮ টি দেশ থেকে আগত ৪৭ জন অফিসারসহ ২৫১ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। দেশগুলো হলো : ভারত, ইন্দোনেশিয়া, আইভরি কোস্ট, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, ফিলিপাইন, সিয়েরা লিয়ন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, তানজানিয়া, উগান্ডা এবং জাম্বিয়া ।উল্লেখ্য, এবছর মোট ১৭ জন নারী অফিসার গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন যা সশস্ত্র বাহিনীতে নারী ক্ষমতায়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সামরিক বাহিনী কমান্ড ও ষ্টাফ কলেজ বাংলাদেশের প্রাচীনতম ট্রাই-সার্ভিস (তিন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত) প্রতিষ্ঠান। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপর্যায়ের নির্বাচিত অফিসারদেরকে কমান্ডার ও ষ্টাফ হিসাবে ভবিষ্যতের গুরু দায়িত্ব পালনে দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। কালের পরিক্রমায় এই প্রতিষ্ঠান আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে একটি সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজ অবস্থান সুসংহত করেছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ৬৮৬ জন অফিসার, ৮ জন পুলিশ অফিসার এবং ৪২টি বন্ধুপ্রতিম দেশের ১ হাজার ২৫৫ জন বিদেশী অফিসার এই প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।