বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহীর বাঘায় আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব জালাল আহমেদ। সোমবার বিকেলে বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতানকে সাথে নিয়ে আকষ্মিক ভাবে তিনি কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বৃদ্ধির লক্ষে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে সফল কৃষি উদ্যোক্তা নিরুপন করে কৃষি উন্নয়ন খাতকে গতিশীল করার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সেই লক্ষে কৃষি প্রধান অঞ্চল হিসাবে খ্যাত রাজশাহীর বাঘায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ফসল, ঔষুধি গাছ ও নানা প্রকার ফল এবং ফুল বাগান গড়ে উঠেছে অত্র উপজেলায়। যা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জালাল আহমেদ ।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক, ড. হাসানুজ্জামান, কৃষি অর্থনীতিবিদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ রেহানা সুলতানা, উপ-প্রকল্প পরিচালক আমিনুজ্জামান, প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার সাহেদ হাসান এবং নাইম হাসান।
তথ্য মতে, এ উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরাঞ্চলকে বলা হয় ফসলের ভান্ডার। সেখানে পেঁয়াজ, রসুন, আলু, বেগুন, টমেটো, সিম, লাউ, মিস্টি কুমড়া, করলা, বরই, পেয়ারা, আম, পটল, ধান ও গম থেকে শুরু করে সকল ফসলই উৎপাদন হয়। অনুরুপ ভাবে নানা প্রকার ফসল ও ফল উৎপাদন হয় উপজেলার বাঁকি ছয়টি ইউনিয়ন সহ দুই পৌর এলাকায়।
তবে এই উপজেলার প্রধান অর্থকারী ফসল আম। উপজেলা কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহীকে আমের জন্য বিখ্যাত বলা হলেও আমের জন্য বিখ্যাত বাঘা উপজেলা। এখানে প্রতিষ্ঠিত পাঁচশো বছর পূর্বে নির্মিত ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদের টেরা কোটায় আমের ছবি সম্পৃক্ত রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটি উপজেলায় যে পরিমান আম বাগান রয়েছে তার চেয়ে বেশি পরিমান আম বাগান রয়েছে বাঘা উপজেলায়।