রবিবার, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং, ৯ই আশ্বিন, ১৪৩০ বং।
নুরুজ্জামান,বাঘা : বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বাঘা মড়েল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম বলেন, সাম্য, মৈত্রী, ত্যাগ, ভ্রাতৃত্ব এবং সহমর্মিতার ধর্ম ইসলাম। ইসলাম মানুষকে মানবতা শিখিয়েছে। বিপদ-আপদে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা প্রদান করেছে । ইসলাম ঘোষণা দিয়েছে , মানুষ মানুষের জন্য। আমি সেই আলোকে শিক্ষকদের দু:সময়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘায় ৭৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমান্বয়ে গঠিত ৪৫০ জন শিক্ষক একটি সমিতির মাধ্যমে কল্যান তহবিল ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এই সমিতিতে প্রত্যেক শিক্ষক মাসে ২০ টাকা হারে কল্যান তহবিলে নগদ অর্থ জমা দিয়ে থাকেন। উদ্দেশ্য , কোন শিক্ষক অসুস্থ্য কিংবা দুর্ঘটনার শিকার হলে তাঁর পাশে দাঁড়ানো।
এদিক থেকে অনেক বিত্তবান শিক্ষক রয়েছেন, যারা এই অর্থের বাইরেও বিপদগ্রস্থ শিক্ষকদের নানা ভাবে সহায়তা দিয়ে থাকেন। আর এ কাজের প্রধান সমান্বয়কারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বাঘা মড়েল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম।
বাঘা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রী-সুনীত কুমার দেবনাথ বলেন, আনজারুল ইসলাম একজন ধামিক মানুষ। তিনি শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিনোদনের পাশা-পাশি ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ২০১৪ সাল থেকে একাধারে বাঘা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ছাড়াও গত বছর থেকে তিনি , রাজশাহী জেলা শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর লক্ষ্য উদ্দেশ্য, শিক্ষকদের খোঁজ-খবর নেয়া সহ শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন এবং মানব কল্যানে কাজ করে যাওয়া।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নেতা আনজারুল ইসলাম বলেন, ইসলামে সৃষ্টির সেবা ও জন কল্যাণের প্রতি অত্যাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বিশ্ব জগতের অসংখ্য সৃষ্টির মধ্যে মানুষই প্রধান। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব তথা ‘আশরাফুল মাখলুকাত’। তাই মানুষের সেবা করাই মানুষের প্রধান কাজ। আমি বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হওয়ার অনেক আগ থেকে শিক্ষকদের জন্য কল্যান ট্রাস্ট চালু করেছি। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে বাঘা উপজেলায় অসুস্থ হওয়া সহ সমস্যা গ্রস্ত অসংখ্য শিক্ষকদের আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়েছে।
আনজারুল ইসলাম আরো বলেন, এই বাইরেও বিভিন্ন সময়ে ডিপিইও, ডি.ডি, ও ডি.জি স্যারদের নির্দেশনা মোতাবেক দেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষকদের আর্থিক ভাবে সহায়তা প্রদান করেছি। তিনি ভালো কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকার জন্য বাঘা উপজেলার সকল শিক্ষকের জন্য দোয়া পার্থনা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।