শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণ সশরীরে কভার করার সুযোগ পাচ্ছেন শুধু সংসদ বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা। এজন্য তাদের ১৬ জানুয়ারি সংসদে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। তার আগে তাদের করোনা টেস্ট করানো হবে। টেস্টে যাদের নেগেটিভ আসবে শুধু তারাই এ সুযোগ পাবেন। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) মো. তারিক মাহমুদ এ তথ্য জানান। ১১ জানুয়ারি তিনি বলেছিলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বার্থে অধিবেশনের সব কার্যক্রম সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত অধিবেশন থেকে কভার করার জন্য সম্মানিত সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’ জানা যায়, সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি অধিবেশন শুরুর দিন শুধু নির্ধারিত তালিকাভুক্ত সাংবাদিকরাই প্রবেশ করতে পারবেন সেখানে। সংসদের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসের কাছে দেওয়া এ সংক্রান্ত চিঠিতে তারিক মাহমুদ উল্লেখ করেন, ‘আসন্ন অধিবেশন উপলক্ষে শুধু ১৬ জানুয়ারি অধিবেশন চলাকালীন সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিকরা সংসদে প্রবেশ করবেন। ১৪ জানুয়ারি সকাল ১০টায় সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিকদের কোভিড-১৯ টেস্টের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।’ করোনাকাল সংসদের সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে এলেও সাংবাদিকদের জন্য নিয়মটা অন্য রকম। তাদের জন্য বিধিনিষেধ যেন থামছেই না। অন্যান্য অধিবেশনের মতো এবারও গণমাধ্যমকর্মীরা অধিবেশনে সংসদে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারছেন না। বিগত অধিবেশনের মতো সংসদ টেলিভিশনের লাইভ দেখে তাদের সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে। এবার শুধু রাষ্ট্রপতির ভাষণের দিন যেতে পারবেন সাংবাদিকরা। অথচ ইংরেজি নববর্ষ পালনে সংসদ সদস্যরা সমবেত হয়েছিলেন পার্লামেন্ট মেম্বার ক্লাবে। সেখানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধরীও উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশন ছাড়া সংসদীয় কমিটি কভার করার জন্য সাংবাদিকরা সেখানে প্রবেশ করতে পারলেও তিনটি জায়গায় জেরার সম্মুখিন হতে হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামী ১৬ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশন আহ্বান করেন। বছরের নতুন অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দিয়ে থাকেন। সেই ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা হয়। এজন্য অধিবেশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনাকালীন অধিবেশনগুলো সংসদ ভবনে না গিয়ে টেলিভিশনে লাইভ দেখে সংবাদ সংগ্রহ করে আসছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। কিন্তু প্রায়ই সংসদ টেলিভিশনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শব্দ আসে না। অবশ্য করোনার নেগেটিভ সনদ থাকা শর্তে গত বাজেট পেশ ও পাসের দিন সংসদ ভবনে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত সংসদের বিশেষ অধিবেশন সংসদে গিয়ে একদিনের জন্য সংবাদ কভার করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।