সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর চারঘাটে চতুর্থ ধাপে সম্পন্ন হওয়া ইউপি নির্বাচনের দুদিন পর একটি কেন্দ্রের পাশের পুকুর থেকে সিলমারা ব্যালট ও ফলাফলের কাগজপত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে উল্লেখ করে চারঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার চারঘাট মডেল থানার ওসি জাঙ্গাহীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, উপজেলার শলুয়ার বামনদিঘী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রেজাউল করিম বাদী হয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে চারঘাট মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘২৬ ডিসেম্বর বামনদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হয়। এরপর রাত ৮টার দিকে নির্বাচনী মালামাল গাড়িতে তোলার সময় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আফাজ আলীসহ অজ্ঞাত ৬০ জন রামদা, হাতুড়ি, চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। তারা নির্বাচনী মালামালসহ ব্যালট পেপারের বস্তা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে রাত ১০ টার দিকে প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যালট পেপার ও নির্বাচনী মালামাল উদ্ধার করে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তা জমা দেওয়া হয়।’
তবে মামলার এজাহারে নির্বাচনের দুদিন পর পুকুর থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধারের কথা উল্লেখ নেই, বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, মামলাটি তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মামলার বাদী বামনদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘ভোটের দিন ব্যালট পেপার ও নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা করেছি। ছিনতাইকৃত ব্যালট পেপার ও মালামাল পরে উদ্ধার করে সিলগালা করে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে পুকুর থেকে ব্যালট উদ্ধারের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এজন্য সেটা উল্লেখ করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, মামলায় পুকুর থেকে ব্যালট উদ্ধারের কথা উল্লেখ নেই। তবে ভোটের দিন ব্যালট ছিনতাই ও পুকুর থেকে ব্যালট উদ্ধারের পর সার্বিক ঘটনা মিলেই মামলাটি হয়েছে।
এদিকে, ব্যালট পেপার ও নির্বাচনী সামগ্রী ছিনতাইয়ের মামলার প্রধান আসামি আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী ছিলাম। ফলাফল ঘোষণায় আমি তৃতীয় হয়েছি। ফল শুনে মনের কষ্টে বাড়ি চলে এসেছি।’ ব্যালট ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র কে বা কারা হামলা করেছে, তা কিছুই জানি না। অথচ আমাকে প্রধান আসামি বানানো হয়েছে।