বুধবার, ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: গত সেপ্টেম্বরে নিরাপত্তা শঙ্কায় শেষ মুহূর্তে নিউ জিল্যান্ড দলের পাকিস্তান সফর বাতিল করা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। সেই নিউ জিল্যান্ড ২০২২-২৩ মৌসুমে পাঁচ মাসের মধ্যে দুইবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে খেলতে যাবে।
দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড সোমবার আলাদা বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তারা খেলবে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে। লাল বলের সিরিজটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ, ওয়ানডে সিরিজ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ।
এরপর ২০২৩ সালের এপ্রিলে আবার পাকিস্তানে যাবে নিউ জিল্যান্ড। এই দফায় তারা খেলবে পাঁচটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। এই ওয়ানডেগুলো অবশ্য সুপার লিগের অংশ নয়। নিউ জিল্যান্ডের প্রথম সফরটি আইসিসি ভবিষ্যৎ সফর সূচির অংশ। দ্বিতীয় দফায় তারা যাবে গত সেপ্টেম্বরে সীমিত ওভারের সিরিজ বাতিল করায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ক্ষতি পুষিয়ে দিতে। ওই সিরিজে তিনটি ওয়ানডের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ছিল পাঁচটি। এবার সেখানে বাড়তি দুটি ওয়ানডে যুক্ত করা হয়েছে।
পাকিস্তান সফরে যেতে পারা দারুণ হবে বলে মনে করেন নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট। “সেখানে (পাকিস্তানে) আবার যেতে পারা হবে দারুণ। দুবাইয়ে দুই বোর্ডের চেয়ারম্যান রমিজ রাজা ও মার্টিন স্নেডেন অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক আলোচনা করেছেন, যা দুই বোর্ডের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে।”
সেপ্টেম্বরে প্রথম ওয়ানডে শুরুর আগ মুহূর্তে নিউ জিল্যান্ড সফর বাতিল করায় কড়া সমালোচনা করেছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। নতুন সিদ্ধান্তে এবারের সিরিজ নিয়ে তিনিও জানান স্বস্তির কথা। “দুই বোর্ডের মজবুত, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে এই সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে পকিস্তান যে ক্রিকেট পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, তা আরও একবার নিশ্চিত করে।”