রিয়াদুল ইসলাম,নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে “খবরের পাতায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ” শীর্ষক বর্ণাঢ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি । বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি নিকেতনে বিজয়ে দিবসের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ চিত্রপ্রদর্শনী চলে।
জানা যায়, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীকে বরণ করে নিতে এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহন করেছে সাংবাদিক সংগঠনটি। চিত্রপ্রদর্শনীতে স্বাধীনতার সংগ্রামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংবাদ তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি নিকেতনে প্রধান অতিথি হিসেবে চিত্রপ্রদর্শনী উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদারুল আলম। এসময় তিনি পুরো চিত্রপ্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংবাদসমূহ পড়ে দেখেন। পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, “যাদের কারণে আজকে আমরা এই বিজয় উদযাপন করতে পারছি সেসব বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। এখানে পুরাতন অনেক সংবাদের বিরল সংগ্রহ দেখে ভালো লেগেছে। নোবিপ্রবিসাসের ব্যতিক্রমী এই আয়োজনকে স্বাগত জানাই। এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকালীন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাবে।”
চিত্রপ্রদর্শনীতে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, নোবিপ্রবিসাসের সভাপতি আব্দুর রহিম, সেক্রেটারি মাইনউদ্দিন পাঠানসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
সারাদিনই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় উৎসবমূখর ছিল প্রদর্শন স্থল। শিক্ষার্থীরা সংবাদের এমন অভিনব প্রদর্শনীর প্রশংসা করে একাজের জন্য নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিকে ধন্যবাদ দেন। নোবিপ্রবি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিয়া জান্নাত জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সৃজনশীল উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার রাখে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি। বিজয় দিবসে আমরা বিজয়ের ঐতিহাসিক পুরাতন সংবাদ পড়তে পেরেছি।”
প্রদর্শনীতে আসা আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “বিজয় দিবসে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটা প্রদর্শনী দেখতে পেরেছি এজন্য খুবই আনন্দিত। প্রদর্শনী অনেক সুন্দর হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি।”