মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: পেশায় মৌয়ালী হলেও সবাই তাকে মধুর ফেরিওয়ালা বা মধু মিরাজ নামেই চেনে। বাগমারার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামের মিরাজ উদ্দিন সরদার (৪৫) দীর্ঘ ২৭ বছর মধু সংগ্রহ ও বিক্রির কাজে নিয়োজিত।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে মৌচাক খুঁজে বেড়ান তিনি। মৌচাকের সন্ধান পেলে মালিকের সাখে যোগাযোগ করেন। কখনও অর্ধেক ভাগ কখনও তিন ভাগের এক ভাগের বিনিময়ে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় মধু বাইসাইকেল নিয়ে মধু ফেরি করে বিক্রি করেন মিরাজ। বছরের বিভিন্ন সময়ে চাহিদার ভিত্তিতে মধুর দাম ওঠামানা করে। তবে এখন সর্ষে ফুলের মধু তারা ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
তার মতে, বর্ষা মওসুমের কয়েক মাস বাদে বছরের অধিকাংশ সময় মধু সংগ্রহ করা যায়। তবে বৈশাখ জৈষ্ঠ্য মাসে ফলমূলের প্রাপ্যতা বেশি হওয়ায় মধুর পরিমানও বেড়ে যায়।
মিরাজের মতে, বাগমারায় প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করা হলেও বর্তমানে বাক্স পদ্ধতিতে অনেকেই মধু চাষ শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে মধু রিফাইন করা মেশিন সংগ্রহ করে সেখানে মধু রিফাইন করে তা শহর এলাকায় রপ্তানী করে থাকেন।
তিনি সহ বাগামারায় প্রায় ৬০-৭০ জন মৌয়ালী রয়েছেন যারা ঘুরে ঘুরে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। এখন শীতকালে এসব মৌয়ালীরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এভাবে ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করে সারা বছরের খরচ মিটিয়ে মিরাজ প্রায় আশি থেকে এক লাখ টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। ভুমিহীন মিরাজের চার সদস্যের পরিবারে এই আয় দিয়ে এখন ভালোই চলছে।
তার মতে, বাগমারার বিভিন্ন বিল এলাকায় প্রতি বছর যে সরিষার আবাদ হয় সেখান বানিজ্যিক ভাকে মধু চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে কম পরিশ্রম ও কম বিনিয়োগে ব্যাপক লাভবান হওয়ায় সুযোগ রয়েছে এই মধু চাষে।