সৌম্যর সেঞ্চুরির পর বোলারদের দাপটে জয় দেখছে

স্পোর্টস ডেস্ক: আগের দিনের রানের পাহাড় আজ দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে যোগ হয় আরেকটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি। ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম পাঁচজনের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিরল। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান সেই কাজটাই করলেন। মিঠুন ও মিজানুরের পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন সৌম্য। সঙ্গে সালমান ও মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে হাফ সেঞ্চুরি। ইনিংস ঘোষণা শেষে ওয়ালটনের রান ৩ উইকেটে ৫৬৩।
প্রথম ইনিংসে ২১৯ সালে গুটিয়ে যাওয়া বিসিবি নর্থ জোন তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৫ উইকেটে ১৭২ রানে। চারদিনের ম্যাচের শেষ দিনে ওয়ালটনের জয়ের জন্য দরকার ৫ উইকেট। বিসিবি নর্থের এমন অবস্থায় ম্যাচ বাঁচানো কঠিন। দ্বিতীয় ইনিংসে এখনো তারা ১৭২ রানে পিছিয়ে। তাতে বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে জয়ের সুবাস পাচ্ছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ওয়ালটনের দিনের শুরুটা হয়েছিল আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সালমান ও সৌম্যর ফিফটিতে। দিনের প্রথম ত্রিশ মিনিটেই দুজন ফিফটি তুলে নেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান সালমান (৫৩) ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে না পারলেও সৌম্য ভুল করেননি। দ্যুতিময় ব্যাটিংয়ে তুলে নেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চতুর্থ ও বিসিএলের প্রথম সেঞ্চুরি। বাঁহাতি পেসার শফিকুলকে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৭৭ বলে। সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খেলেন আরো ৬৪ বল। পরে ডানহাতি পেসার নোমান চৌধুরীকে চার মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেন। সব মিলিয়ে ইনিংসটি ছিল ১০ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো। মোসাদ্দেক ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করেছেন। ৫৭ বলে করেছেন ৫০ রান। নামের পাশে আছে ৩টি করে চার ও ছক্কা।
৩৪৪ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণার পর বোলিংয়েও শুরুতে সাফল্য পায় ওয়ালটন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চেপে ধরে নর্থ জোনকে। তাতে রবিউল হক পেয়ে যান ইমনের উইকেট। দ্বিতীয় উইকেটে তানবীর ও তানজীদ হাসান তামিম প্রতিরোধ গড়েন। দেয়াল হয়ে দাঁড়ান তারা। কিন্তু স্পিনার হাসান মুরাদের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হতে হয় তানবীরকে। জমাট ব্যাটিং করতে থাকা তানবীর মুরাদের আর্ম বলে ব্যাট লাগিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন। তার সঙ্গী তামিম সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ভালো ব্যাটিং করছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু ৯০ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। ঘাতক সেই মুরাদ। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বড় শট খেলার আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার। সেই ফাঁদে আটকা পড়েন তামিম। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বল মিস করে বোল্ড হন।
নাঈম পরাস্ত হন মৃত্যুঞ্জয়ের বাউন্সারে। বাঁহাতি পেসারের বল পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। দিনের শেষ প্রান্তে মুরাদ উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করান সানজামুলকে। অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন মার্শাল আইয়ুব। তবে দিনটা পুরোটাই ছিল ওয়ালটনের। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একক আধিপত্য ধরে রাখে দলটি। শেষদিনে নাটকীয় কিছু না হলে জয়টা তাদেরই প্রাপ্য।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২১ | সময়: ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর