মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর যে জিনিসটির অভাব সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া গিয়েছিল, তা হলো লিওনেল মেসির সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দুজনের মুখোমুখি লড়াই দেখার জন্য তীর্থের কাকের মতো বসে থাকতে হতো সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলারের ভক্তদের। কিন্তু এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলো সেই অপেক্ষার অবসান ঘটাল। দুজনেই স্পেন ছাড়লেও শেষ ষোলোতে আবার হচ্ছে ‘মেসি বনাম রোনালদো’ যুদ্ধ। সোমবারের ড্র শেষে নিশ্চিত হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও প্যারিস সেন্ট জার্মেইর লড়াই, যে দুটি ক্লাবে এই মৌসুমে পা রেখেছেন রোনালদো ও মেসি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গত আসরেই গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিলেন মেসি ও রোনালদো। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড তখন খেলতেন জুভেন্টাসে, আর আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বার্সায়। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে খেলা হয়নি রোনালদোর, জুভেন্টাসের মাঠে বার্সা জেতে ২-০ গোলে। আর পরের দেখায় আকাঙ্ক্ষিত মেসি বনাম রোনালদো লড়াই হয়, যে ম্যাচে গোলের দেখা পান সিআরসেভেন এবং তার দল বার্সাকে হারায় ৩-০ গোলে। দুজনের গন্তব্য এখন অন্য পথে গেলেও আবার দেখা হচ্ছে।
গতবারের রানার্সআপ ম্যানচেস্টার সিটির শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল। বায়ার্ন মিউনিখ হেভিওয়েট লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে। ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল খেলবে রেড বুল সলজবুর্গকে। বর্তমান ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন চেলসিকে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে লিঁলকে পরাস্ত করতে হবে। ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের বাধা বেনফিকা। ইন্টার মিলানকে পরীক্ষা দিতে আয়াক্সের সামনে। আর স্পোর্টিং মুখোমুখি হবে জুভেন্টাসের।
আগামী বছর ১৫, ১৬, ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি হবে শেষ ষোলোর প্রথম লেগ। দ্বিতীয় লেগ হবে ৮, ৯, ১৫ ও ১৬ মার্চ। এবার নকআউটে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা থাকছে না। দুই লেগ মিলিয়ে দুই দলের সমান গোল থাকলে ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের খেলা হবে। তাতেও ফল নিষ্পত্তি না হলে গড়াবে টাইব্রেকারে।
মিঠুনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
স্পোর্টস ডেস্ক: ৬ ম্যাচে ফিফটি নেই একটিও, এবারের জাতীয় লিগ ব্যাট হাতে ভীষণ হতাশাজনক কেটেছে মোহাম্মদ মিঠুনের। ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের জন্য তা ভীষণ বেমানান। তবে সেই অধ্যায় পেছনে ফেলে বিসিএলের প্রথম ম্যাচেই তিনি জ্বলে উঠলেন ব্যাট হাতে। অনভ্যস্ত পজিশনে নেমেও উপহার দিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
বিসিএলের প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে সোমবার ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন মিঠুন। পরে শতরানে পা রাখেন তার উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী মিজানুর রহমানও। সাদা বলের ক্রিকেটে নানা সময় ওপেন করলেও লাল বলে ওপেন করতে একদমই অভ্যস্ত নন মিঠুন। এই ম্যাচের আগে মধ্যাঞ্চলের নিয়মিত ওপেনার আব্দুল মজিদ কোভিড সংক্রান্ত জটিলতায় ছিটকে গেলে মিঠুন নামেন ওপেন করতে। বাজিমাত করে ফেললেন তাতেই।
এবার জাতীয় লিগে খুলনার হয়ে একটি ম্যাচে বল হাতে ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে চমক দেখালেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন মিঠুন। ৯ ইনিংস খেলে তার রান ছিল মোটে ১৫৮, সর্বোচ্চ ৪৬। বিসিএলের প্রথম ইনিংসেই পেলেন বড় রান। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষ করেন মিঠুন ৪৩ রান নিয়ে। ওয়ানডের গতিতে খেলে ৫৪ বলের ইনিংসে মারেন ৬ চার ও ১ ছক্কা। দ্বিতীয় দিন সকালে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি ৬৪ বল খেলে।
পরে সেখানেই না থেমে তিনি এগিয়ে যান আরও। বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের বল কাভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্কে পা রাখেন ১৪৫ বল খেলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ত্রয়োদশ সেঞ্চুরি এটি। জাতীয় লিগে প্রায় একই অবস্থা ছিল মিজানুর রহমানেরও। রাজশাহীর হয়ে চার ম্যাচে আট ইনিংস খেলে ছিল না ফিফটি, সর্বোচ্চ ছিল ৪৮। তিনিও শুরুটা দারুণ করলেন বিসিএলে।
দিন শুরু করেন তিনি ১৮ রান নিয়ে। আগের দিন সাবধানী ব্যাটিং করা ওপেনার নতুন দিনে আরেকটু স্বাধীনতা নিয়ে খেলেন। আরিফুল হকের শর্ট বলে পুল করে চার মেরে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি ৮৯ বলে। লাঞ্চের ঠিক আগের বলে তানবীর হায়দারের বল স্লগ সুইপে ছক্কায় উড়িয়ে তিনি শতরান পূর্ণ করেন ১৬৩ বলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার দ্বাদশ সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে উত্তরাঞ্চলের ২১৯ রান মধ্যাঞ্চল পেরিয়ে যায় কোনো উইকেট না হারিয়েই।