রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক : আজ ১৪ ডিসেম্বর। একাত্তরের এইদিনে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। নিয়াজী তখনও গো ধরে বসে আছে, কিন্তু বাকি প্রায় সবারই হৃদকম্প উঠে গেছে। ঢাকা বিজয়ে প্রচণ্ড হামলা রাজধানীর চারদিকে। ১৩ ডিসেম্বর রাত থেকে ১৪ ডিসেম্বর ভোর পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে মিত্রবাহিনীর কামান অবিরাম গোলা ছুড়ে চললো। নিয়াজীসহ পাকি হানাদারদের হৃদকম্প তখন তুঙ্গে। পরাজয় নিশ্চিত বুঝে রণেভঙ্গ দিয়ে পাকি গবর্নর মালিকের মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে আশ্রয় নেয় রেডক্রসে।
মালিক ও তার গোটা ‘পূর্ব পাকিস্তান সরকারের’ এই সিদ্ধান্তের পর নিয়াজির অবস্থা আরও কাহিল হলো। জীবন বাঁচাতে আত্মসমর্পণের পথ খুঁজছে পরাজিত পাক হায়েনার দল। পাকি জেনারেল নিয়াজী বারংবার নিরাপদ আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করতে ভারতের সেনা প্রধান মানেকশর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছিল। আত্মসমর্পণের পর হামলা নয়, জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাইছিল জেনারেল নিয়াজীসহ পাক জেনারেলরা।
মিত্রবাহিনীর কামানের গোলা গিয়ে পড়ল ঢাকা ক্যান্টনমেন্টেও। সে গোলার আওয়াজে গোটা শহর কাঁপল। ঢাকার সবাই বুঝল, আর রক্ষা নেই। গবর্নর মালিক সেদিন সকালেই ‘সমগ্র পরিস্থিতি’ বিবেচনার জন্য গবর্নর হাউসে মন্ত্রিসভার এক জরুরী বৈঠক ডাকলেন। ওই বৈঠক বসানোর বিষয়েও রাও ফরমান আলী এবং চীফ সেক্রেটারি মুজাফফর হোসেনের হাত ছিল। মন্ত্রিসভার বৈঠক বসল বেলা ১১টা নাগাদ। একটি পাকিস্তানী ওয়্যারলেস ম্যানেজ করে মিত্রবাহিনীও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জেনে গেলে এই বৈঠকের খবরটা।