বৃহস্পতিবার, ১লা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: বড়াইগ্রামের মেরিগাছা গ্রামে শাহ আলম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যের জমিতে জোরপূর্বক পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, মালিক তার জমিতে খনন করা পুকুরে মাছচাষে বাধা দেয়ায় উল্টো তার নামে থানায় মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শাহ আলম মেরিগাছা গ্রামের মৃত এরাদ আলী সরকারের ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শাহ আলম কয়েক বছর আগে মেরিগাছা মৌজায় প্রতিবেশী আজিজুর রহমানের ওয়ারিশদের কাছ থেকে ৮৭১ হালদাগে সাড়ে তিন বিঘা এবং ৯০৬ দাগে আরো সাড়ে তিন বিঘা জমি কিনেন। কিন্তু তিনি ৮৭১ দাগে কেনা জমির সাথে আজিজুর রহমানের ভাই লুৎফর রহমানের ওয়ারিশদের নামের আরো সাড়ে তিন বিঘা মিলিয়ে মোট সাত বিঘা জমিতে জোরপূর্বক পুকুর কেটে মাছ চাষ শুরু করেন।
সম্প্রতি লুৎফর রহমানের ছেলে আবুল কাশেম ও তার ভাই মোজাম্মেল হক পুকুর খননকারী শাহ আলমকে তার নিজের সাড়ে তিন বিঘা জমিতেই মাছ চাষ করতে বলেন। একই সঙ্গে তাদের জমিতে থাকা পুকুরের অংশে জাল দিয়ে পৃথক করে নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহ আলম জাল কেটে ফেলে দেয়াসহ তাদের নামে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী আবুল কাশেম বলেন, শাহ আলম জোরপুর্বক আমাদের জমিসহ পুরো সাত বিঘাতে পুকুর কেটে ফেলেছে। এখন আমরা আমাদের অংশ জাল দিয়ে আলাদা করে নিতে চাইলে উল্টা সে মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানী করছে।
শাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দুই দাগে নয়, ৮৭১ দাগেই সাত বিঘা ধানি জমি কিনে তাতে পুকুর খনন করেছি। তবে তার দাবির স্বপক্ষে দলিল-দস্তাবেজ দেখতে চাইলে তিনি তাতে রাজি হননি।
বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক তোজাম্মেল হক জানান, বাদী-বিবাদী উভয়েরই দুই দাগেই জমি আছে। কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি থেকে তাদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা উভয় পক্ষকেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দিয়েছি। একই সঙ্গে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টাও চলছে।