শুক্রবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নুরুজ্জামান,বাঘা : রাজশাহীর বাঘার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পর জমে উঠেছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা। এখানে তিনটি ইউনিয়ন-আড়ানী, বাউসা এবং চকরাজাপুরে আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় সরকার ঘোষিত চতুর্থ দফা নির্বাচন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন ইউনিয়ন মিলে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাবে নির্বাচন বয়কট করার ঘোষনা দিলেও বিভিন্ন উপজেলায় সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বাঘার দু’টি ইউনিয়ন আড়ানী এবং বাউসায় দলীয় পদধারী দু’জন বিএনপি নেতা সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। এর মধ্যে বাউসা ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন পলাশ আনারস প্রতীক নিয়ে (সতন্ত্র)প্রার্থী হয়ে ভোট করছেন।
এদিক থেকে তাদের দলে দ্বিধা-বিভক্তি থাকায় বিএনপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী মলিন সমর্থীত নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে ঐ ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানের (মোটর সাইকেল প্রতীকে) ভোট চাচ্ছেন ।এতে করে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বাঘা পৌর ও উপজেলা বিএনপির নেতারা । তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ভাবে আমাদের ভোট করার নির্দেশনা নেই। এর পরেও যারা প্রার্থী হবেন তারা নিজ দায়িত্বে ভোট করবেন।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঘা থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন পূর্বে বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রসঙ্গে তার বাড়ীতে কথা বলতে গেলে তুফানের বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে পাশ্ববর্তী মসজিদ থেকে মাইকিং করে উপজেলা আ’লীগের কয়েকজন নেতাকে বে-ধড়ক মারপিট করা হয়। এ নিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির ।এ মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী মলিন সহ কতিপয় জামাত-বিএনপির লোকজনকে আসামী হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী মলিন এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিজে কারো জন্য ভোট চাইনি। আমার সমর্থীত কর্মীরা যদি আ’লীগের বিদ্রোহী নুর মোহাম্মদ তুফানের জন্য ভোট চাই সে ক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই।
তবে সতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পলাশ(প্রতীক আনারস)এ প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে অভিযোগ ছুড়ে বলেন, আমরা প্রায় ১৩ বছর ক্ষমতায় নেই। তার পরেও আমাদের মধ্যে দ্বিধা-বিভক্তি রয়েছে। তিনি সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ আলী মলিন এর ভাই সহ ঐ ইউনিয়ন বিএনপির মলিন সমর্থীত-রেজাউল করিম, বাদশা আলম, নাশির উদ্দিন, আজিজ, মকলেস , মোয়াজ্জেম ও খলিল সহ অনেকেই আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফনের মোটর সাইকেল প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।