রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: আগামী বছরের (২০২২) ১৬ মার্চের পরে বাজারে খোলা তেল বিক্রি করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একইসঙ্গে বোতলজাত/প্যাকেটজাত করে মানসম্পন্ন ভোজ্য তেল ভোক্তার কাছে সহজলভ্য করতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্রান্ড বলরুমে ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট অব ড্রাম অয়েল সোল্ড ইন মার্কেট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্য তেলের প্রতি ভোক্তারা কেন আস্থা রাখতে পারছেন না সেটা ভাবতে হবে। আমদানিকারক থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত সবাইকে অবশ্যই জনস্বাস্থ্য বিবেচনা করতে হবে, তারপর মুনাফা। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের মানসম্পন্ন ভোজ্য তেল ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিয়ে আস্থা অর্জনের আহ্বান জানান।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই মজুদদারী ও ভেজালের বিরুদ্ধে স্পেশাল অ্যাক্টে মামলা করে শাস্তির বিধান করেছিলেন। দীর্ঘ ৫০ বছর পরেও আমাদের ভোজ্য তেলের বিরুদ্ধে কথা বলতে হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, মানহীন ভেজাল খাদ্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার পথে অন্তরায়। দেশের জন্য দক্ষ মানব সম্পদ গড়তে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা রাখতে হবে। ব্যবসায়ীরা সচেতন হলে ভোজ্য তেলে ভেজালের প্রবণতা অনেক কমে যাবে। খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল পরিহার করে মানবতার সেবায় অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, কোনটি ভালো পণ্য সেটা গ্রাহক বুঝতে পারছেন না। মোড়কের আড়ালে যে পণ্য আছে তার প্রতি আস্থা পাচ্ছে না। এজন্য বোতলে যেটা আছে তার গুণাগুণ ও ক্ষতিকর দিক লিখে বাজারজাত করতে হবে। ভেজাল খাবারের কারণে ক্যানসার ও হৃদরোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ব্যয় হচ্ছে, চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম,শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভ নিউট্রেশনের (গেইন) কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলীম।