সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: গোটা প্রায় দুটি দিন ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। প্রথম তিন দিনে সম্ভাব্য ২৭০ ওভারের মধ্যে খেলা হয়েছে ৬৩.২ ওভার। এমন নিষ্প্রাণ ম্যাচেও প্রাণ ফিরিয়েছে পাকিস্তান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রও তারা তৈরি করে ফেলেছে। চতুর্থ দিনের নায়ক সাজিদ খানের কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ, শেষ দিনে বাংলাদেশের ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেই মাঠ ছাড়বেন তারা।
মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে খেলা হয় ৫৭ ওভার, দ্বিতীয় দিনে মোটে ৬.৩ ওভার। তৃতীয় দিনে হয়নি একটি বলও। চতুর্থ দিনেও খেলা শুরু হয় ঘণ্টা দেড়েক দেরিতে। চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর সময় সবচেয়ে সম্ভাব্য ফল ছিল ড্র। ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলে পাকিস্তান যখন ইনিংস ঘোষণা করল, তখনও ম্যাচের বাস্তবতা বদলায়নি খুব একটা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার পর থেকেই বদলাতে থাকে চিত্র।
আলোকস্বল্পতার কারণে প্রথম ওভারের পর আর পেসারদের বোলিংয়ে আনতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু সাজিদ তা বুঝতেই দেননি। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই তিনি ফেরান অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয়কে। এরপর একের পর এক শিকার ধরতে থাকেন তার অফ স্পিনে। শেষ পর্যন্ত আলোর স্বল্পতায় যখন আগেভাগেই শেষ হলো দিনের খেলা, বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ৭৬। ফলো-অন এড়াতেই প্রয়োজন আরও ২৫ রান।
ক্যারিয়ারে আগের ৩ টেস্ট খেলে সাজিদের উইকেট ছিল মোট ৬টি। এবার তিনি এক ইনিংসেই ৬ উইকেট নিয়ে আরও নেওয়ার অপেক্ষায়। তবে তার মূল অপেক্ষা দলের জয়ের। আগ্রাসনের পথ ধরে তারা জয়ের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন বলেই বিশ্বাস সাজিদের। “পরিকল্পনা এটাই যে কালকে এই তিন জনকে আউট করে ওদেরকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে আরেকবার অলআউট করে দিয়ে জয়ের চেষ্টা করা।”
“ববি ভাই (বাবর) এটা বলেছিলেন যে, সবাই যেন জয়ের জন্য মাঠে নামে এবং প্রত্যেকেই যেন নিজেকে উজার করে দেয়। আমরা এটাই করেছি, আক্রমণ করেছি এবং সেটির ফল মিলেছে।” আগের টেস্টেও চট্টগ্রামে দুই ইনিংস মিলিয়ে চার উইকেট নিয়েছিলেন সাজিদ। তবে বোলিং করে তিনি বেশি উপভোগ করেছেন মিরপুরেই। উইকেটে তীক্ষ্ণ টার্ন যে মিলেছে! অবশ্য টার্ন না পেলেও ম্যাচ জয়ের পথ খুঁজে নেওয়ার বিশ্বাস আছে সাজিদের।
“প্রথম টেস্টে যেরকম উইকেট ছিল, তাতে এরকম বোলিং হচ্ছিল না। ওখানে টার্ন থাকলেও সময় পাচ্ছিল (ব্যাটসম্যানরা)। তবে সেখানেও চার উইকেট পাওয়ায় আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।” “উইকেট এরকম যে, নতুন বলেও টার্ন পেয়েছি। তাই চেষ্টা করে যাব। টার্ন পাওয়া যাক বা না যাক, সাকি ভাই (সাকলায়েন মুশতাক) বলেন যে, কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। তার কথা হলো, কখনও কখনও ফিল্ডিং দিয়েই আউট করতে হবে। টার্ন না মিললেও তাই আশা করি ফিল্ডিং দিয়ে আউট করে দেব।