শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: প্রাথমিক পর্বে তিন ইনিংসে একবারও পার করতে পারেননি ত্রিশ। নিষ্প্রভ আইচ মোল্লা যেন সবটুকু জমিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্য। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও তার দারুণ ইনিংসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল পেল বড় পুঁজি। পরে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ ‘বি’ দলকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা জিতল সফরকারীরা।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মঙ্গলবার তিন দলীয় যুব ওয়ানডে টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশের জয় ১৮১ রানে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ ‘বি’ দলকে ২৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে কেবল ৫৩ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তারা। টানা তিন জয়ের পর এক ম্যাচ পরিত্যক্ত। এরপর ফাইনালে এই দাপুটে জয়, অপরাজিত থেকেই শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। আগামী জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিটা ভালোই হলো যুবাদের।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে উদ্ধার করেন আইচ ও আশিকুর জামান। ১০ চার ও ২ ছক্কায় আইচ খেলেন ৯৩ রানের ইনিংস। আগের তিন ম্যাচে তার রান ছিল যথাক্রমে ৪, ২৯, ২। অষ্টম উইকেটে আইচের সঙ্গে ৯৪ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়েন আশিকুর। ৫ চার ও ২ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৫০। পরে বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন তিনিই।
দুটি উইকেট নেন মেহরব হাসানও। তবে বাংলাদেশের সেরা বোলিং নাইমুর রহমানের। কেবল ১৬ দিয়ে ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। বৃষ্টির বাগড়ায় ৪২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয় বেশ বাজে। প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান মাহফিজুল ইসলাম। শুরুর ধাক্কা কিছুটা সামাল দেন ইফতেখার হোসেন ও প্রান্তিন নওরোজ নাবিল। তাদের ৪০ রানের জুটি ভাঙে রবি কুমারের বলে নাবিল বোল্ড হয়ে ফিরলে।
এরপর ইফতেখারের স্টাম্প এলোমেলো করে দেন আউম কানাবার। পরের চার ব্যাটসম্যানও ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। ১১৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দেড়শর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় তখন বাংলাদেশ। তখন ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়েন আইচ ও আশিকুর। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাড়তে থাকে দলের রান, পার হয় দুইশ। ফিফটি স্পর্শ করার পরই সাজঘরে ফেরেন আশিকুর। শেষ ওভারে সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে থাকতে রান আউট হয়ে যান আইচ।
রান তাড়া করতে নামা ভারতকে আগুনে বোলিংয়ে শুরুতেই চেপে ধরেন দুই পেসার তানজিম হাসান ও আশিকুর। নিজের পরপর দুই ওভারে শোয়ান রজার ও আরাধ্য যাদবকে ফিরিয়ে দেন আশিকুর। তানজিমের শিকার মোহাম্মদ ফাইজ। নাইমুর টিকতে দেননি আনশ গোসাইকে। ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা ভারতকে পথে ফেরানোর চেষ্টা চালান উদয় সাহারান ও কুশাল তাম্বে। তাদের ৩৩ রানের জুটি ভাঙার পর চোখের পলকে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। শেষ পাঁচ উইকেট স্বাগতিকরা হারায় স্রেফ ৫ রানে। ইনিংসে দলটির হয়ে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল দুইজন। যেখানে সর্বোচ্চ উদয়ের ২৬।