শুক্রবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নিয়ামতপুর প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে অন্যের হয়ে প্রাক্সি পরীক্ষা দেয়ার আপরাধে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে সাজা দিয়েছে ভ্রম্যমাণ আদালত। রবিবার বেলা সোয়া ১১টায় নিয়ামতপুর সরকারী কলেজ কেন্দ্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।
সাজা প্রাপ্ত ভূয়া পরীক্ষার্থী হলেন, শ্যামাপদ (১৯)। তাকে ভ্রাম্যামাণ আদালত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১ শ টাকা জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত শ্যামাপদর বাড়ি নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গাহইল গ্রামের ভবেশ বর্মনের ছেলে এবং নিয়ামতপুর সরকারী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র বলে জানা গেছে।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে টিকরামপুর টেকনিক্যাল এন্ড ম্যানেজন্টে কলজের এইচএসসি ভোকেশনাল শাখার ২য় বর্ষের পরীক্ষা চলছিলো। কেন্দ্রে মোট ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী অশংগ্রহণ করে। এ পরীক্ষায় কার্তিক বর্মনের অশংগ্রহণের কথা ছিল। কার্তিক বর্মন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গাহইল গ্রামের মনজম বর্মনের ছেলে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলমের নেতেৃত্ব একাডেমীক সুপারভাইজার জাকির হোসেন, কেন্দ্রে সচিব গোলাম শফি কামালসহ কক্ষ পরিদর্শনে গেলে প্রথমে তাকে খূঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে কৌশলে তাকে সনাক্ত করে পরীক্ষা শেষে তাকে আটক করা হয়।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শ্যামাপদ দোষ স্বীকার করে বলে আমি আমার কাকা উপজেলার গাহইল গামের সনজম বর্মনের ছেলে কার্তিক বর্মনের বদলে পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম।
নিয়ামতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলম জানান, আজকে সকালে যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যবস্থাপনা সে পরীক্ষাতে একজন পরীক্ষার্থী অন্য আরেকজন পরীক্ষার্থীর হয়ে মানে ভূয়া পরীক্ষার্থী হিসাবে পরীক্ষা দিতে আসছেন। বেলা ১১.২০ আমরা তাকে সনাক্ত করতে পারি। তাকে হাতে নাতে ধরে তাকে ভূয়া পরীক্ষার্থী হিসাবে চিহ্নিত করি সে মোতাবেক মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষা আইন সমূহের ১৯৮০ সালে ৩ (খ) ধারা অনুযায়ী তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১শ টাকা জরিমানা করা হয়।
কেন্দ্র প্রধান গোলাম শফি কামাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ঘটনাটি দুঃখজনক। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা আর না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হবে।