শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নুরুজ্জামান,বাঘা : দেশজুড়ে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে স্থানীয় সরকার পরিচালিত ইউপি নির্বাচন। ফলে দেশের রাজনীতি এখন নির্বাচনমুখী। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।এদিক থেকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
এই নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে প্রার্থীদের দৌড়-ঝাপ শুরু হয়েছে। এখানে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।এই সংগঠনটি কেন্দ্রীয় ভাবে ভোট বর্জনের ঘোষনা দিলেও দলের উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠ চোষে বেড়াচ্ছেন ।
অপরদিকে উপজেলার আড়ানীতে সুবিধা জনক অবস্থানে থাকলেও দু’টি ইউনিয় বাউসা এবং চকরাজাপুরে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ।তাঁরা সর্বাক্তক চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বিদ্রোহীকে নিজ-নিজ মনোনয়র তুলে নেয়ার জন্য।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে বাঘা উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন আড়ানী,বাউসা এবং চকরাজাপুরে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা ও নেতাকর্মীদের দৌড়-ঝাঁপ । চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বস্তরে চলছে নির্বাচনী আমেজ। তবে দলীয় প্রতীকে ভোট বর্জন করে সতন্ত্র হিসাবে বিএনপি দলীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ভোট করায় সাধারণ মানুষের কাছে তারা ব্যাপক ভাবে সমালোচিত হচ্ছেন ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে সতন্ত্র হিসাবে ভোট করছেন আড়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন।অপর দিকে বাউসা ইউনিয়নে ভোট করছেন উপজেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন পলাশ।অপর একজন বিএনপি নেতা দুলাল হোসেন চকরাজাপুর ইউপি থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেও যাচাই-বাছাই-এ তার প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়। ফলে দুই ইউনিয়নে সতন্ত্র হিসাবে জয়ের মালা পরার স্বপ্নে বিভোর বিএনপির তৃণমুল থেকে উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সরেজমিন তিন ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, এবারের নির্বাচনে জামাতে ইসলামী থেকে একক ভাবে প্রার্থী না দিলেও তারা বিএনপির পদধারী সতন্ত্র প্রার্থীর দের সাথে ভোট চাচ্ছেন। অনেকেই মেধা, যোগ্যতা, সমাজ চেতনা, দূরদর্শিতা ও দলের অবদান-সহ ইত্যাদি বিবেচনায় আনার পর্যালোচনা করছেন ।তবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চেয়ে আলোচনায় সরব হয়ে উঠেছে পুরুষ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা।
এ বিষয়ে বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি ও বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, আমাদের দল থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে ভোট করার নির্দেশনা নেই। যারা ভোট করছেন তারা নিচ দায়িত্বে ভোট করবেন।
অন্যদিকে দিকে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, বিএনপির কুলাঙ্গার তারেক জিয়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে আছে।ওরা স্বাধীনতার শত্রু জামাতিদের সাথে করে গোপনে পরিকল্পনা করে। প্রকাশ্যে ভোট বর্জনের ঘোষনা দিলেও যেখানে তাদের প্রার্থী আছে সেখানে সতন্ত্র। আর যেখানে প্রার্থী নেই সেখানে আওয়ামী বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। এখানে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার কষ্টে যদি কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হন এবং শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যার না করেন, তাহলে চিরতরে দল থেকে ঐসব নেতাকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমার বিশ্বাস, বাঘায় তিন ইউনিয়নের মধ্যে যে দু’টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিবেন ।