বৃহস্পতিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বং।
স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাট হাসছিল না, দেখা মিলছিল না রানের। অবশেষে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙলেন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ ‘বি’ দলের বিপক্ষে উপহার দিলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। টপ অর্ডারদের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে ঝড় তুললেন মেহরব হাসান। পরে বোলারদের নৈপুণ্যে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে যুবাদের তিন দলীয় সিরিজে বুধবার বাংলাদেশের জয় ১১৩ রানে। ৩০৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে ১৯২ রানেই থামিয়ে দিয়েছে সফরকারীরা। সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ ‘এ’ দলকে ২ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ে তারা এখন সবার শীর্ষে।
বাংলাদেশ তিনশ ছাড়ানো এই সংগ্রহ দাঁড় করায় নাবিল ও মেহরবের সৌজন্যে। যুব ওয়ানডেতে নিজের আগের ৬ ম্যাচে ফিফটি না পাওয়া নাবিল খেলেন ১০১ রানের ইনিংস। পরে ৪৮ বলে ৭০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন মেহরব। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ পঞ্চম ওভারে হারায় আগের ম্যাচে ৯১ রান করা মাহফিজুল ইসলামকে। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন নাবিল ও ইফতেখার হোসেন।
তাদের ৯৫ রানের জুটিতে ইফতেখারের অবদান ৫৭। পিএম সিং রাঠোরের বলে ক্যাচ তুলে দেন এই ওপেনার। আইচ মোল্লা ও মোহাম্মদ ফাহিম খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। ১৪ চারে ১০১ রান করা নাবিলকে ফেরান কুশাল তাম্বে। বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্যই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এরপর মেহরব তোলেন ঝড়। ৬ চার ও ২ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৭০ রান করে। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। দলটির উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২৯ রানে। আশিকুর জামানের বলে ক্যাচ তুলে দেন বিমল কুমার। মেহরব এলবিডব্লিউ করেন মোহাম্মদ ফাইজকে। আর নাইমুর রহমান স্টাম্প এলোমেলো করে দেন আনশ গোসাইয়ের। দুইজনেই করেন ২৭ রান করে। দলীয় স্কোর একশ ছোঁয়ার আগে নাইমুরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান উদয় সাহারান।
৯১ রানে ৪ উইকেট হারানো দলটি আর পরে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন অনিশ্বার গৌতম। বাংলাদেশের হয়ে ২২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আরিফুল ইসলাম। আর নাইমুরের প্রাপ্তি দুটি। বৃহস্পতিবার ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।