রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: লিওনেল মেসি চড়েছেন সপ্তম স্বর্গে। জিতেছেন এবারের ব্যালন ডি অর। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো এই পুরস্কার জিতলেন আর্জেন্টাইন তারকা। কী এই ব্যালন ডি অর? কেন এটি নিয়ে এত আলোচনা? খেলোয়াড়দের কাছেই বা কেন ব্যালন ডি অর এত সম্মানের?
ব্যালন ডি অর ফুটবলারদের ব্যক্তিগত নৈপুন্যের জন্য দেওয়া সবচেয়ে প্রাচীন পুরস্কার। ১৯৫৬ সালে ফরাসি ক্রীড়া লেখক ও সাংবাদিক গাব্রিয়েল আনো এই পুরস্কারটির পরিকল্পনা করেন। পূর্ববর্তীবছরে যে পুরুষ খেলোয়াড়টি সবচেয়ে ভালো ফুটবল খেলেন, তাকেই দেওয়া হতো এই পুরস্কার। প্রথম ব্যালন ডি অর জেতেন স্ট্যানলি ম্যাথুস। অনেকটা ঘরোয়াভাবেই তার হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কারটি। এখন এটি বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত পুরস্কারগুলোর একটি।
শুরুর দিকে কেবল ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কার দেওয়ার নিয়ম ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে সেটি দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় খেলা ফুটবলারকে। এই বছরের ব্যালন ডি অর পুরস্কারের ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছেন সারা বিশ্বের ১৭০ জন ফুটবল সাংবাদিক। তারা নিজেদের পছন্দের ক্রমানুসারে মোট পাঁচজন ফুটবলারকে ভোট দিয়েছেন। পরে তাদের ভোটের গড় ফলে বেছে নেওয়া হয়েছে ব্যালন ডি অর জয়ীকে।
১৯৫৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্তও ফুটবল সাংবাদিকদের ভোটাভুটিতে এটি নির্ধারিত হতো। ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় ফুটবল দলসমূহের কোচ ও অধিনায়কদেরকেও ভোটাধিকার প্রদান করা হয়। কারণ তখন ফিফার সঙ্গে চুক্তিতে যায় ফ্রান্স ফুটবল। পুরস্কারটির নাম হয় ‘ফিফা ব্যালন ডি অর’। পরে ২০১৬ সালে আবারও আলাদা হয়ে যায় তারা।